আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১২:১৬

শাহিন চাকলাদার নৌকার মাঝি! আনন্দে ৩০ হাজার পদধ্বনিতে প্রকম্পতি যশোর।

মুনতাসির মামুন : যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক  ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন চাকলাদার চতুর্থধাপে ফের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোয়ন পাওয়ায় শনিবার বিকালে যশোরে আনন্দ মিছিল করেছে আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। মিছিলে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারন জনগণের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মত। প্রায় ১৫ হাজার নারী পুরুষের বহর নিয়ে মিছিলটি শহরের কেন্দ্রীয় ঈঁদগাহ ময়দান থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আনন্দ মিছিলের একাংশ


হাজার হাজার জনতার হাতে নৌকা ঢাক ঢোল শাহিন চাকলাদারের  ছবি সস্বলিত ব্যানার মিছিলে শোভা পাচ্ছিলো। মিছিলে নারীদের ব্যাপক উপস্থিতি প্রশংসার জন্ম দিয়েছে।


এছাড়া মিছিলটি শহর প্রদক্ষিনের সময় রাস্তার দুই পাশের সাধারন জনতা প্রশংসা করে বলেন শাহিন চাকলাদার যে মানুষের সাথে থাকেন তার প্রমাণ এই মিছিলের হাজার হাজার জনতা। গাড়িখানা রোড দিয়ে মিছিল প্রদক্ষিণের সময়ে স্থানীয় দোকানদাররা করতালি দিয়ে উৎসাহ যোগান।


আনন্দ মিছিলের একাংশ

মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক গাজী কাদের মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আরবপুর ইউ পি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এস এম আফজাল হোসেন কাজী আলমগীর হোসেন যশোর জেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি আব্দুল মতলেব বাবু, বসুন্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজনিন নাহার দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান।জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রওশন ইকবাল শাহি সম্পাদক ছালছাবিল আহমেদ জিসান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এম এম রবিউল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মুমেল হোসেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল প্রমুখ।

মিছিল শেষে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানার ভৈরব চত্তরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বিএনপি শাসনামলের নানা দূর্নিতি নিয়ে সমালোচনা করে আ’লীগের উন্নয়ন ও নির্বাচনী ইস্তেহারে বর্নিত আশ্বাস বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনা বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন।

সুলতান মাহমুদ বিপুলের জনসংযোগ

অপরদিকে  উপজেলা পরিষদের নির্বাচন কে কেন্দ্র করে  ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ( উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান) সুলতান মাহমুদ বিপুল  যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। সুলতান মাহমুদ বিপুল দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি একজন সৎ, যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থী। তিনি আওয়ামী লীগের পরিবারের সদস্য। বিগত ৫ বছর দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সেবা করেছেন। আগামীতেও সেই সেবা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি এবারও প্রার্থী হয়েছেন। ভোটাররা সেই বিবেচনা থেকে তাকে আবারও জয়ী করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সুলতান মাহমুদ বিপুলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দি সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন।


আনন্দ মিছিলের একাংশ

যোগাযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, যশোরে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন শাহীন চাকলাদার। সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েও বঞ্চিত হন। কিন্তু নৌকার মাঝিদের জয়ী করতে তার ভূমিকা স্মরণযোগ্য। তিনি তৃণমূলের নেতা। এজন্য তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন।

উল্লেখ্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদারের পাশাপাশি মনোনয়ন চেয়ে দলের ফরম কিনেছেন সংগঠনের জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর কবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মিন্টু।


আনন্দ মিছিলের একাংশ


জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। নেত্রী মনে করেননি। তারপরও দলের পক্ষে প্রাণপণ কাজ করে যশোরের ৬টি আসনই নেত্রীর উপহার দিয়েছি। উপজেলা নির্বাচনে সদরের মনোনয়ন চেয়েছি। নেত্রী দিয়েছেন।যশোরে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছি। আগামীতেও করে যাব।বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে রাজপথে ছিলাম আগামিতেও থাকবো।

আরো সংবাদ