সারা দেশের এসিড ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। শুধু মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলতে পারবে না। তবে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সড়কে বৈধ ইজিবাইক চলতে বাধা নেই। এছাড়া এ সংক্রান্ত রুল হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও মনিরুজ্জামান আসাদ।
গত ১৫ ডিসেম্বর সারাদেশের সড়কগুলো থেকে এসিড ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এগুলো আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেছিলেন অ্যাডভোকেট আতিক তৌহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে ইজিবাইক মালিকদের সংগঠন।
১৫ ডিসেম্বর আইনজীবী আতিক তৌহিদুল ইসলাম বলেছিলেন, ইজিবাইকগুলোতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। এই ইজিবাইকগুলো পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া ইজিবাইকগুলো রুট পারমিট ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করছে। এই ইজিবাইকের বিদ্যুৎ খাত থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। এ কারণে সারাদেশে চলা অবৈধ ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে আমরা হাইকোর্টে রিট করি।
গত ১৩ ডিসেম্বর বাঘ ইকো মোটরস লিমিটেডের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলামের পক্ষে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়। রিটে শিল্প সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, পরিবেশ সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়।