মুনতাসির মামুন,বিশেষ প্রতিনিধি : মামুন হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের মা বকুল খাতুন কোতয়ালী থানায় ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলো- যশোর শহরের ঘোপ এলাকার আবদুস সবুর খোকার ছেলে সুজন ওরফে ছোট সুজন (১৬), সদর উপজেলার শেখহাটি খাঁপাড়া এলাকার তাজু শেখের ছেলে তামিম রেজা (১৮), সদরের শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার রেজাউলের ছেলে ফয়সাল (১৬) ও হারুন শেখের ছেলে সুমন (১৬)। বাকী ৫ আসামি হলো- শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার সাগর (১৬), ইমন (১৬), মঞ্জিল (১৭), হৃদয় (১৮) ও খানজাহান (১৮)।
শনিবার রাতে আবদুল্লাহ আল মামুন (৩২) কে ছুরিকাঘাত ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এঘটনায় শ্যামলি ও আরিফ নামে আরোও দুজন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিং এ তথ্য জানানো হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা তারা মসজিদ জোড়া পুকুরপাড়ে ছুরিকাঘাতে আবদুল্লাহ আল মামুন নিহত হন। এঘটনায় আরও দুজন আহত হন। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। নিহত মামুন যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মৃত আবদুর রবের ছেলে।
প্রেসবিফ্রিং এ যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন জানান, মামুন হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতেরর মা বকুল খাতুন কোতয়ালী থানায় ৯জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এরমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলো- যশোর শহরের ঘোপ এলাকার আবদুস সবুর খোকার ছেলে সুজন ওরফে ছোট সুজন (১৬), সদর উপজেলার শেখহাটি খাঁপাড়া এলাকার তাজু শেখের ছেলে তামিম রেজা (১৮), সদরের শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার রেজাউলের ছেলে ফয়সাল (১৬) ও হারুন শেখের ছেলে সুমন (১৬)। বাকী ৫ আসামি হলো- শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার সাগর (১৬), ইমন (১৬), মঞ্জিল (১৭), হৃদয় (১৮) ও খানজাহান (১৮)।
বিফ্রিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল গোলাম রব্বানী বলেন, যশোর শহরতলীর শেখহাটি জোড়া পুকুর এলাকায় বাপ্পা নামের এক যুবক বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যান। সেখানে ফয়সাল, সাগর ও হৃদয় নামে কয়েকজন যুবক তাকের আটকে ব্লাকমেইল করে। তারা টাকা দাবি করে। বিষয়টি ফোনে তার বন্ধুদের জানায়। তারা সেখানে গিয়ে সাগরকে মারতে গেলে তার মা শেফালি বেগম ঠেকাতে গিয়ে ছুরিকাহত হন। এরপর সাগরের সঙ্গীরা বাপ্পার বন্ধু মামুন ও আরিফকে ছুরিকাঘাত করে। এদের মধ্যে মামুন মারা যান। আরিফকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন ও আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এরপর অভিযান চালিয়ে ৪জনকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার হত্যার দায় স্বীকার করেছে।