আজ - বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:৩৫

শোভন-রাব্বানীর ওপর ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী, কমিটি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত হয়নি বললেন কাদের।

বিশেষ প্রতিনিধি।। ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও খবর ছড়িয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, শোভন-রাব্বানীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। বিশেষ করে তারা দুপুরের আগে ঘুম থেকে ওঠে না।’

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের ওপর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের মাত্রা অনেক। যে কারণে সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও তিনি দেখা দেননি। সেময় উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তখন দুজনকে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন।

সূত্রে জানা যায়, দলীয় সভানেত্রীর এমন বক্তব্যের পর বৈঠকে অংশ নেয়া মনোনয়ন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরাও ছাত্রলীগের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ১১ ও ১২ মে। তার আড়াই মাস পর গেল বছরের ৩১ জুলাই শোভনকে সভাপতি ও রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। গেল ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে ওই কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কমিটিতে স্থান না পাওয়া বা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।

সেসময় তারা অভিযোগ করেন, বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগবিদ্ধ অনেককে পদ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনেক ত্যাগী নেতাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে রোববার সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ক্ষোভ থাকতে পারে, তবে কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আরো সংবাদ