ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সিনেমা অঙ্গন। আজ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, শিমুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা।
ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা.সোহেল মাহমুদ জানান, মৃত ওই নারীর গলায় দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে রশি অথবা এই জাতীয় কিছু দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে ধর্ষিত হয়েছেন কিনা তা জানতে ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে, দাম্পত্য কলহের জেরে চিত্রনায়িকা শিমুকে তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার। মঙ্গলবার পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। হত্যাকাণ্ডে আসামির বাল্যবন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদ জড়িত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘নায়িকা শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার আগেই জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এ ঘটনায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে মরদেহ লুকানোর কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন আলামত।’ এর আগে গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের আলিপুর ব্রিজ সংলগ্ন কদমতলীর এলাকায় সকালে স্থানীয় লোকজন একটি বস্তাবন্দি মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয়য়। পরে পুলিশ অজ্ঞাত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। পরে উদ্ধার করা লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে নিহতর বড় ভাই এস আই খোকন বোনের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।