স্টাফ রিপোর্টার ॥ সকলের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় কর্মস্থল থেকে বিদায় নিলেন যশোর বিসিক শিল্পনগরীর উপ-মহাব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান। ১৯৮৬ সালে যশোর বিসিকের সিনিয়র অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। সৃজনশীল মেধা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্মদক্ষতার কারণে পদোন্নতি পেয়েছেন অনেকবার। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে পদোন্নতি পেয়ে উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পুণরায় ফিরে আসেন যশোর বিসিকে। ৩০ অক্টোবর মঙ্গলবার ৩৮ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবন শেষ হয় তার। বিদায় বেলায় বুধবার দুপুরে বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্রে শিল্প মালিক সমিতি আয়োজন করে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। অশ্রুসিক্ত নয়নে ভারাক্রান্ত মনে তাকে বিদায় জানালেন শিল্প মালিকবৃন্দ। কর্মদক্ষতা ও শিল্প মালিকদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণের কারণে সকলের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। যে কোন জটিল সমস্যাও তিনি খুব সহজেই সমাধান করে দিতেন। বিপদে আপদে, সুখে-দুঃখে সবসময় শিল্প মালিকদের পাশে ছিলেন তিনি। যেকারণে শিল্প মালিকেরা তার বিদায়টা মেনে নিতে পারছেনা। তাকে বিদায় দিতে গিয়ে অনেকে কেঁদেও ফেলেন। শুধু শিল্প মালিক নয় তার অধিনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তাকে বিদায় দিতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি। বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি নাসিব যশোরের সভাপতি সাকির আলীর সভাপতিত্ত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক শিল্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা সৌদিয়া টেক্সটাইল মিলের সত্ত্বাধিকারী মোশোরেফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক ঝুমঝুমপুর শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম, বিসিকের এস্টেট অফিসার সাইফুল ইসলাম, নাসিবের নির্বাহী সদস্য মোস্তাক আহম্মেদ, বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তাক আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক কওসার হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির আলী, দপ্তর সম্পাদক আবু ইসাহক বাবু, সদস্য জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমানসহ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকবৃন্দ। বিদায় অনুষ্ঠানে শিল্প মালিকবৃন্দ লুৎফর রহমানকে নিয়ে নিজ নিজ অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন। এসময় সকলে লুৎফর রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুসাস্থ্য কামনা করেন।