যশোর প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আমার সন্তানের গায়ে হাত তুলবেন না। আমি আর দু’একদিন দেখবো। এরপরও যদি আমার কোনো সন্তানের গায়ে হাত তোলা হয়, মেসে গিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হয়, তাহলে তার উৎকৃষ্ট এবং সম উত্তর দেবো। তিনি বলেন, আমি শেষ পর্যন্ত শিক্ষক হয়ে থাকতে চাই। যবিপ্রবিকে শহরের হায়েনাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। অশুভ ও দুষ্ট চক্রের রাজনীতি থেকে রক্ষা করতে হবে। এটা বিশ^বিদ্যালয়, কলেজের পেছনে কখনোই বিশ^বিদ্যালয় যায় না। এটা তোমাদের বুঝতে হবে।
সোমবার যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগ আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।
এরআগে নবীনবরণ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা বের করে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। শোভাযাত্রায় পলিথিন দূষণ, পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, জলবায়ু উদ্বাস্তুসহ ছয়টি থিম স্থান পায়। কোনো বাদ্যযন্ত্র ও গান ছাড়া কীভাবে পরিবেশ বান্ধব শোভাযাত্রা করা যায় সেটিকেই তুলে ধরা হয়।
অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, ভীতু, কাপুরুষ সন্তানের পিতা আমি হতে চাই না। আমি সাহসী সন্তানের পিতা হতে চাই। যে সন্তান জীবনে একবার মারা যাবে। যে সন্তান প্রতিদিন মারা যায়, আমি সেই সন্তানের পিতা হতে চাই না। তিনি বলেন, যবিপ্রবি তোমাদের কাছে আজকে গুরুর অর্ঘ্য চাচ্ছে। তোমাদের যা আমরা দিয়েছি তার প্রতিদান চাচ্ছি। অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, যে রাজনীতি করতে চায় সে রাজনীতি করবে, এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যে ছাত্র পড়াশোনা করতে চায়, তাকে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে হবে। তাকে জোর করে রাজনীতিতে নিয়ে আসা যাবে না।
অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, সন্তান যদি ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসতে চায়, সে আসতে পারে। কিন্তু মেসে গিয়ে এক ভাই আরেক ভাইকে, এক বোন আরেক বোনকে হুমকি-ধমকি দেবে, জোর করে ধরে নিয়ে যাবে, এটা হতে দেয়া হবে না। এ বিশ^বিদ্যালয় একদিনের জন্যও বন্ধ হবে না। শহর থেকে কলেজভিত্তিক কিছু দুষ্কৃতিকারী বিশ^বিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করবে, তাও হতে দেয়া হবে না।
পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর সাইবুর রহমান মোল্যার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মজিদ, ডিনস কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মৃত্যুঞ্জয় বিশ^াস, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর মীর মোশাররফ হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ। এরপর বিকেলে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।