আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৩:৩৭

সাংবাদিকদের ধৈর্য ধরার আহবান ওবায়দুল কাদেরের

রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশকে মানবতার আলোকবর্তিকা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং ৪টি হাসপাতালে ৪টি হাই-ফ্লো নজেল ক্যানোলা ও ৪টি অটিস্টিক সংগঠনে শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য হচ্ছে যেহেতু বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে, বিষয়টি বিচারাধীন। নিরপরাধ হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায় বিচার পাবেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তরঙ্গ তথা সংক্রমনের উচ্ছমাত্রা চলাকালে এই বিষয়টি নিয়ে যাতে জন মনে কোন ধরনের অস্থিরতা ও অসন্তোষ তৈরি না হয় সেজন্য আমি সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি ধৈর্য ধারণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ বিষয়টি সাংবাদিকদের ব্রিফ করলে এমন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি নাও হতে পারতো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দেশের গণমাধ্যমের প্রতি কোন ধরনের চাপ এখন নেই এ কথা আমি বলতে পারি। প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে দেশের দুর্নীতি অপরাধসহ নানা বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার হচ্ছে।

তিনি বলেন, এদেশের গণতন্ত্রের বিকাশ ও লালন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে গণমাধ্যম অতন্দ্র প্রহরী। যারা বলছেন দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জন্য সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে একথা আদৌ সত্য নয়। দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে আমরা জানতে পেরেছি সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিবের অনুপস্থিতিতে তার কক্ষে প্রবেশ করে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি ও নোট লুকিয়ে ফেলে ও মোবাইলে ছবি তুলে। অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ১৯২৩ অনুযায়ী এ ধরনের গোপনীয় বিষয় প্রকাশ যোগ্য নয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংবাদিকদের যে কোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এভাবে লুকিয়ে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন ছিল না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।

আরো সংবাদ