আজ - বৃহস্পতিবার, ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১১:০৫

সাবেক সচিবের গাড়ি থেকে ৮০ বোতল মদ উদ্ধার।

ঢাকা থেকে খুলনায় আনা দেশি-বিদেশি মদের একটি চালান জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি প্রাইভেট কারসহ দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গাড়িটির মালিক একজন সাবেক সচিব।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রূপসা সেতুর টোল প্লাজায় চালানটি জব্দ করে। এর মধ্যে ছিল বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৪ বোতল এবং দেশি কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ৪৬ বোতল মদ।

এ সময় আটক হন মো. আব্দুর রহিম শরীফ ও গাড়িচালক মো. ওহাব শিকদার। শরীফের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার প্রতাপ এলাকায় এবং বর্তমানে থাকেন ঢাকার কামরাঙ্গীরচর চৌরাস্তার হযরত নগরে। অন্যদিকে ওহাব ফরিদপুরের নগরকান্দার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার লালবাগের আমলিগোলা এলাকায় বসবাস করেন।

দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, তাঁরা ঢাকার একটি চক্র থেকে মদ সংগ্রহ করে মাঝেমধ্যে ভাড়া করা প্রাইভেট কারে করে খুলনায় এসে আরেকটি চক্রের কাছে সরবরাহ করেন। আগেও তাঁরা একাধিকবার খুলনায় এসেছেন। তাঁরা মূলত চালান নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসেন। সেখানে ঢাকার চক্রের কাছ থেকে গাড়ির নম্বর পেয়ে খুলনার চক্রটি তাঁদের শনাক্ত করে বিশেষ কৌশলে অন্য গাড়িতে মদগুলো তুলে নিয়ে যায়। খুলনায় কারা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের কারও নাম বলতে পারেননি দুজন। অবশ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে আটক হওয়ার পর শরীফের মোবাইল ফোনে জামাল নামের একজন হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল দেন। তবে শরীফের দাবি, জামাল নামে কাউকে তিনি চেনেন না।

ওহাব জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবের গাড়িচালক। ওই সচিবের নাম রাশেদ খান। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জে এবং সেখানে তাঁর নামে একটি কলেজ রয়েছে। তবে গাড়িটি রাশেদের স্ত্রী স্কুলশিক্ষক রাবেয়া খাতুনের নামে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, অভিযুক্তরা ঢাকা থেকে দেশি-বিদেশি মোট ৮০ বোতল মদ নিয়ে খুলনায় আসছিলেন। এ সময় অধিদপ্তরের ‘খ’ সার্কেলের একটি দল রূপসা সেতুর টোল প্লাজা থেকে তাঁদের আটক করে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত