আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৫:৩২

সুস্থতা ১৭৭ জন থেকে এক লাফে ১০৬৩

স্টাফ রিপোর্টার।। বেশ কয়েকদিন ধরে দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ধীরে ধীরে সুস্থতার খবর শোনা যাচ্ছিল। গতকাল পর্যন্ত মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ছিল ১৭৭ জন। তবে হঠাৎ করেই আজ এক লাফে সুস্থতা বেড়ে হয়েছে ১০৬৩ জন।

রোববার (৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

বুলেটিং উপস্থাপন করার সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলবার আগে আমি একটু অন্য দিকে আসব। সেটা হলো সুস্থতা বিষয়ে। আমাদের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি নতুন একটি গাইডলাইন করেছে। আমরা কীভাবে রোগীদের সুস্থ বলতে পারব বা তারা হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবে কী কী ক্রাইটেরিয়া দিয়ে। আজকে আমরা বলব এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১০৬৩ জন। এরমধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬২৪ জন এবং বিভাগীয় পর্যায় থেকে ছাড়া হয়েছে ৪৩৯ জন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার হাসপাতাল বাদে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭২ জন, রাজশাহী বিভাগ থেকে ২ জন, খুলনা থেকে ৬ জন, বরিশাল থেকে ২৯ জন, সিলেট থেকে ২ জন, ময়মনসিংহ থেকে ৩১ জন এবং রংপুর থেকে ২৫ জন।

হাসপাতাল থেকে যদি দেখি, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ২৯৮ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২১৩ জন, ইনফেকশাশ ডিজিজ হাসপাতাল থেকে ৮ জন, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল থেকে ৩৮ জন, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে ১৫ জন, সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে ২২ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল থেকে ২৬ জন, মিরপুর লালকুঠি হাসপাতাল থেকে ৪ জন। নতুন ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী রোগীরা ছাড়া পেয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৬৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৪৫৫ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭৭ জনে।

গত কয়েক দিনের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হিসেব করলে দেখা যায়,

৯ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ১১২ জন, মারা যান ১ জন।

১০ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৯৪ জন, মারা যান ৬ জন।

১১ এপ্রিল শনাক্ত হয় ৫৮ জনের দেহে, মারা যান ৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।

১২ এপ্রিল ১৩৯ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়, মারা যান ৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।

১৩ এপ্রিল আক্রান্ত হন ১৮২, মারা যান ৫। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।

১৪ এপ্রিল আক্রান্ত হন ২০৯ জন, মারা যান ৭ জন। কেউ সুস্থ হননি।

১৫ এপ্রিল এই সংখ্যা ঠেকে ২১৯ জনে, মারা যান ৪জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ জন।

১৬ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৩৪১ জন, মারা যান ১০ জন।

১৭ এপ্রিল আক্রান্ত হন ২৬৬ জন, মারা যান আরও ১৫ জন।

১৮ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৩০৬ জন, আর ৯ জন মারা যান। সুস্থ হয়েছেন ৮ জন।

১৯ এপ্রিল ৭ জন মারা যান, আক্রান্ত হয় ৩১২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ জন।

২০ এপ্রিল ১০ জন মারা যান, আক্রান্ত হন ৪৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ জন।

২১ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৪৩৪ জন, মারা যান ৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ জন।

২২ এপ্রিল শনাক্ত হয় ৩৯০ জনের দেহে। মারা যান ১০ জন, সুস্থ হন ৫ জন।

২৩ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৪১৪ জন, মারা যান ৭ জন, সুস্থ হন ১৬ জন।

২৪ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৫০৩ জন, মারা যান ৪ জন, সুস্থ হন ৪ জন।

২৫ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৩০৯ জন, মারা যান ৯ জন, সুস্থ হননি কেউই।

২৬ এপ্রিল আক্রান্ত হন, মারা যান ৫ জন, সুস্থ হন ১০ জন।

২৭ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৪৯৭ জন, মারা যান ৭ জন, সুস্থ হন ৯ জন।

২৮ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৫৪৯ জন, মৃত্যু হয় ৩ জনের, সুস্থ হন ৮ জন।

২৯ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৬৪১ জন, মারা যান ৮ জন, সুস্থ হন ১১ জন।

৩০ এপ্রিল আক্রান্ত হন ৫৬৪ জন, মারা যান ৫ জন, সুস্থ হন ১০ জন।

১ মে আক্রান্ত হন ৫৭১ জন, মারা যান ২ জন, সুস্থ হন ১৪ জন।

২ মে আক্রান্ত হন ৫৫২ জন, মারা যান ৫ জন, সুস্থ হন ৩ জন।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত ক’দিনে সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত