আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ১১:০৩

স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জেরে জেলা আ’লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাংচুর,হামলার অভিযোগ

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলনকে  আসামী করে কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ষষ্ঠীতলা পাড়া রবিউল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত(৩৭)।

অভিযোগে মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত বলেছেন, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে তহমিনা খাতুন(৩২), আবুল হোসেন(৫৫),আবুল হোসেনের ছেলে মনির(৩৮), মোঃ বাবু(৩৬) ও আফিয়া খাতুন(২০) এবং ঘোপ পিলুখান সড়কের সৈয়দ আলী মোল্লার ছেলেশ হিদুল ইসলাম মিলনসহ অজ্ঞাতনামা সাত-আটজন আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাতে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র সহকারে বেআইনি জনতাবদ্ধে অনাধিকারে দরজা ভেঙে তার বাড়িতে প্রবেশ করিয়া তাকে প্রকাশ্যে খুন করার হুমকি দিয়ে ১ নং আসামীকে বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত অনুমান ৬ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয় এবং সংসার জীবনে একটি ছেলে মাগফুর সাদাত(৪) এর জন্ম হয়। ১ নং আসামী স্ত্রী থাকা কালে সে ২,৩,৪,৫ ও ৬ নং আসামীদের প্রকাশ্য সহায়তায় পারিবারিকভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সাথে গোলযোগ করিয়া খারাপ আচার আচরণ করিতো এবং আমার অবাধ্য হইয়া চলাফেরা করিতো। ১ নং আসামী প্রায় সময় তার পিতার বাড়িতে অবস্থান করতো। ১ নং আসামীর সহিত সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় আমি আসামির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হইয়া স্বইচ্ছায় বিবাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে গত ১৮/০৪/২০২২ তারিক ১ নং আসামীকে ডিভোর্স তালাক প্রদান করিয়াছি।

১নং আসামীকে তালাক দিয়েছি মর্মে তাহারা জানিতে ১ নং আসামী ২,৩,৪,৫, ও ৬ নং আসামিদের সহায়তায় আমার দেওয়া তালাক নামা মানে না বলিয়া আমাকে পুনরায় বিবাহ করার কথা বলিয়া চাপ সৃষ্টি করে ও ১ নং আসামীকে আমি পুনরায় না বিবাহ করিলে আমাকে মারপিট খুন জখম করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে ২১/০৪/২০২২ তারিখে ‌ তারিখ রাত্র অনুমান ৯:১৫ ঘটিকায় উক্ত আসামিরা সহ অজ্ঞাত নামা আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাতে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র সহকারে বেআইনি জনতাবদ্ধে অনাধিকারে দরজা ভাঙ্গিয়া আমার বাড়িতে প্রবেশ করিয়া আমাকে প্রকাশ্যে খুন করার হুমকি দিয়ে ১ নং আসামীকে বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। ঐ সময় আমি ১ নং আসামীকে বিবাহ করিতে অস্বীকার করলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হইয়া ৬ নং আসামীর হুকুমের ২নং আসামির হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করিতে গেলে আমি মাথা সরাইয়া নিলে আঘাত আমার ডান চোখের নিচে লাগিয়ে রক্তাক্ত জখম হই। ৩নং আসামী হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার কপালে মারিয়া হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং আসামির হাতে থাকা লোহার রড দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাজায় সজোরে আঘাত করিয়া মাজার হাড় ভাঙ্গিয়া ফেলে। আমি ডাক চিৎকার করিলে আমার পিতা মোঃ রবিউল ইসলাম ঠেকাইতে গেলে ৬ নং আসামীর নির্দেশে আমার পিতাকে খুন করার হুকুম দিয়া আসামিরা মাথায়, হাতে, বুকে, পিঠে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করিয়া নীলা ফুলা জখম করে। সকল আসামিরা দুইটি দরজা ভাঙচুর করে এবং বাড়িতে ও ঘরে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করিয়া অনুমান ৫০০০০ টাকার ক্ষতিসাধন করে। ৬ নং আসামীর নির্দেশে ২ নং আসামী আমার ঘরে থাকা আলমারির মধ্য থেকে ১টি স্বর্ণের গলার হার ওজন ১ ভরি, ১ টি স্বর্ণের চেইন ওজন ৮ আনা ও তিনটি স্বর্ণের আংটি ওজন ১২ আনা চুরি করিয়া নেয়। ৩ নং আসামী আমার ঘরের মধ্যে আলমারির ড্রয়ারে রক্ষিত ৭৬০০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও সাক্ষী ১. মোঃ বাবু (৩১), ২. ফজিলা বেগম (৫০) সহ আরো অনেকে আগাইয়া আসিলে ৬ নং আসামির বলেন, ১ নং আসামীর সহিত পুনরায় বিবাহ করিয়া ঘর সংসার করবি, না হলে তোকে ও তোর পিতাকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবো বলিয়া হুমকি দিয়া আসামিরাসহ অজ্ঞাত আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সাক্ষীদের সহায়তায় আমি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। আসামিরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করিবে বলিয়া হুমকি দিচ্ছে। আসামিরা যে কোনো সময় আমাকে মারপিট করা সহ আমার যে কোনো বড় ধরনের ক্ষতি করিতে পারে। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ভাবে আলোচনা করিয়া অভিযোগ দাখিলে বিলম্ব হইলো। অতএব, জনাবের নিকট আবেদন উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার মর্জি হয়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত