যশোরের শংকরপুরের রনজু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তারই স্ত্রী শ্যামলী। বিদেশ পাঠানোর নামে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। এসব টাকা পরিশোধের সামথ্য স্ত্রী শ্যামলীর নেই। যেকারণে তিনি বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্বামী রনজু চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন এই নারী। এই প্রতারক আপন চাচাকে খুন করে তার স্ত্রী রিনা বেগমকে নিয়ে সংসার করছেন বলেও অভিযোগ স্ত্রী শ্যামলীর।
অভিযোগে তিনি বলেন-তার স্বামী একজন চিহিৃত প্রতারক। এরমধ্যে শুভ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৯ লাখ, সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ৪০ লাখ, সাহেব আলীর কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ও রুবেল নামে আরও এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রনজু। এসব টাকার জন্য এখন স্ত্রী শ্যামলীর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন প্রতারিতরা।
শ্যামলী অভিযোগ করেন-একজন গৃহিনী স্ত্রীর পক্ষে এত টাকা পরিশোধের সুযোগ নেই। এসব নিয়ে কথা বললে রনজু শারীরিক ও মানিসিক নির্যাতন করে।
তিনি বলেন-রনজু বিশাল একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার রাজু, সিদ্দিক, আলম ও নুর ইসলাম, আলমডাঙার শিপন মেম্বার ও ঢাকা মতিঝিলের আনোয়ার। চক্রটি সংঘবদ্ধ। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকছে।
রনজু আপন চাচা সালামকে খুন করে তার স্ত্রী রিনা বেগমকে বিয়ে করেছেন বলেও অভিযোগ করেন স্ত্রী শ্যামলী।
বর্তমানে প্রতারিতরা শ্যামলীকে পাওয়া টাকা পরিশোদের জন্য চাপ দিচ্ছে কিন্তু রনজু দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘাঁটি গেড়ে চাচী রিনা বেগমকে নিয়ে মানবপাচার সিণ্ডিকেট পরিচালনা করছেন।
এ অবস্থায় চিহিৃত এই প্রতারক ও মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান শ্যামলী। তিনি বলেন-এমনিতে আমার সংসার ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। তারপর পাওনাদারদের চাপ নিতে পারছেন না শ্যামলী।