আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:৪৮

স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত: পাটুরিয়ায় যানজটে ৬শ’ ট্রাক

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে নদীতে তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ফেরি স্বল্পতা ও নানা সমস্যার কারণে কয়েকটি ঘাট বন্ধ থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘাট এলাকায় প্রায় ৬শ’ ট্রাক ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় থাকে। এ নৌ-রুটে চলাচলরত ১৮টি ফেরির মধ্যে খানজাহান আলীসহ ২টি ফেরি বিকল থাকায় ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারপার করা হচ্ছে। 

আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম জিলতুর রহমান জানান, পদ্মা-যমুনা নদীতে স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ফেরি স্বল্পতা ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ঘাটে যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বাড়লে ট্রাক কম পারাপার করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও কোচ পারাপার করা হচ্ছে। 

তিনি জানান, পাটুরিয়ায় ৪টি ঘাটের মধ্যে ১ নম্বর ঘাট প্রায় সারা বছরই বন্ধ থাকে। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ২ নম্বর ঘাটটিও বন্ধ রয়েছে প্রায় এক মাস ধরে। বর্তমানে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর এই তিনটি ঘাট দিয়ে ফেরিতে যানবাহন লোড-আনলোড করা হলেও শুক্রবার সকাল থেকে ৫ নম্বর ঘাটটি বন্ধ থাকায় ঘাটে ফেরি ভিড়তেও সমস্যা হচ্ছে। এসব বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানজটের কারণে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও কোচ পারাপার করায় পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের ২-৩ দিন করে ঘাটেই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী ট্রাক চালক জসিম উদ্দিন জানান, তিনি বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন। স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে দ্বিগুণেরও বেশি সময় লাগছে। ঘাটে যানজটের কারণে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থেকেও ফেরির টিকিট পাননি তিনি।

ঢাকার মিরপুর থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী ট্রাক চালক নান্নু শেখ জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে যান তিনি। শনিবার সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থেকেও ফেরির টিকিট পাননি। এ রকম প্রায় ৬শ’ ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় পড়ে রয়েছে। 

আরিচা অফিসের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোশেনের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, এ নৌ-রুটে চলাচলরত ১০টি রো-রো ফেরি মধ্যে ৭টি বড় রো-রো ফেরি প্রায় ৩৫-৩৬ বছরের পুরানো। পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে ফেরিগুলোর ঘাটে যেতে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগছে। পুরানো ফেরিগুলোকে নদীর স্রোতে প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিতে নিয়ে যাচ্ছে। ওখান থেকে উজানে ঘাটে ভিড়তে দীর্ঘ সময় কেটে যাচ্ছে। এ কারণে ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ঘাট এলাকায় প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। 

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত