সৌদি আরবে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম রোধে এজেন্সিগুলোকে আইনের আওতায় আনতে একটি আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এতোদিন হজ ব্যবস্থাপনা চলতো একটা নীতিমালার মাধ্যমে। নীতিমালার মাধ্যমে চলার কারণে অনেক সময় অ্যাকশন নিতে অসুবিধা হতো। অ্যাকশন নিলে তারা আবার হাইকোর্টে গিয়ে ইনজাংশন নিয়ে আসতো। আর ২০১১ সাল থেকে সৌদ আরব হজ ব্যবস্থপনাকে পরিবর্তন করে ফেলেছে। পাকিস্তান, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া আইন করে ফেলেছে। হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আমাদের ইকুপ্ট করতে গেলে একটা আইনি কাঠামোর প্রয়োজন। ২০১২ সালের মন্ত্রিসভার নির্দেশনা ছিল নীতিমালার পরিবর্তে আইন নিয়ে আসার।
আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পবিত্র হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব সরকারের ওপর ন্যস্ত থাকবে। সরকার হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে রাজকীয় সৌদি সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, সমঝোতার ভিত্তিতে সৌদি আরবের যেকোনো স্থানে হজ অফিস স্থাপনসহ সার্বিক কার্যক্রম নিতে পারবে।
আইন অমান্যকারীদের শাস্তির বিষয় নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এসব ক্ষেত্রে হজ এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল এবং ৫০ লাখ টাকা এবং ওমরা এজেন্সির ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাতিল ও ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। আর যদি ক্রিমিনাল অপরাধ করে তাহলে সেই আইনে শাস্তি দেওয়া যাবে।
কোন হজ বা ওমরা এজেন্সিকে কোনো অনিয়মের কারণে পর পর দু’বছর সতর্ক করা হলে তার লাইসেন্স দুই বছরের জন্য বাতিল থাকবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সরকার দৈব, দুর্বিপাক, মৃত্যু, দুর্ঘটনা, হজযাত্রীদের আকস্মিক প্রয়োজনে আপদকালীন তহবিল গঠন করবে বলে আইনে উল্লেখ রয়েছে।