যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে গতকাল বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির ১১ জন প্রতিনিধিকে আটক করার পর মুস্তলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময় ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ এবং রোগীদের হয়রানি করার কারণে তাদের আটক করা হয়েছিল। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানিয়েছেন, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশের জন্য সময় নির্ধারণ করা আছে। প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার বেলা ১টার পর তারা এ হাসপাতালে চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। কিন্তু এ নিয়ম না মেনে তারা হাসপাতালের যততত্র প্রবেশ করছেন এবং চিকিৎসকগণ রোগীর প্রেসক্রিপশন কী লিখছেন তার ছবি তোলাসহ হয়রানি করছেন। যে কারণে পুলিশ দিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের হাসপাতাল চত্বর থেকে পুলিশ দিয়ে আটক করা হয় এবং আরএমও ডা. মো. আরিফ আহমেদের কার্যালয়ে তাদের বসিয়ে রাখা হয়। দুপুর ২টার দিকে অপর আরএমও ডা. মো. আব্দুস সামাদের কক্ষে নিয়ে ওই ১১ জনের মুচলেকা লিখে নেয়া হয়। এরপর তাদের মুক্তি দেয়া হয়। মুচলেকা দেয়ার সময় প্রতিনিধিরা আর কখনো হাসপাতালে প্রবেশ করবেন না এবং রোগীদের হয়রানি করবেন বলে চলে যান। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ওই প্রতিনিধিরা হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং রোগীদের টিকিট নিয়ে টানাটানি করে আসছিলেন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীরা হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন তত্ত্বাবধায়ক এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।