ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলি ও সরকার–সমর্থকদের হামলায় হতাহত হওয়ার ঘটনায় আজ রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
সকাল থেকে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় দফায় দফায় মিছিল, সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। তবে এই হরতালের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে রাজপথে সক্রিয় দেখা গেছে।
বায়তুল মোকাররম এলাকায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ঘিরে উত্তেজনাও তৈরি হয়। ইটের টুকরা নিক্ষেপের মতো ঘটনাও ঘটে। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের মধ্যে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।বিজ্ঞাপন
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন। সেখানে দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা আছেন। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি।
সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা মাঝেমধ্যে স্লোগান দিচ্ছেন। শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরাও হরতালবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।
সকাল থেকে মালিবাগ এলাকা, রেলক্রসিং ও রামপুরা সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা। তাঁদের কারও কারও হাতে লাঠি, হকিস্টিকও দেখা গেছে। পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কসহ বিভিন্ন এলাকায়ও অবস্থান নিয়েছেন সরকার–সমর্থকেরা।
এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরকার–সমর্থকেরা হরতালবিরোধী মিছিল করেছেন। মিরপুর, উত্তরা, তেজগাঁও এলাকায় তাঁদের অবস্থান দেখা গেছে।
তেজগাঁওয়ে সরকারি দলের এক কর্মী ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র পরিচয় দেওয়া মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা হরতালের নামে বিশৃঙ্খলা হতে দেবেন না। এ কারণে এখানে অবস্থান নিয়েছেন।
এটা তো পুলিশের কাজ? উত্তরে মামুন বলেন, এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। মানুষের জানমাল রক্ষা করা সরকারি দলের কর্মী হিসেবে তাঁদেরও দায়িত্ব। তাঁরা পুলিশ-প্রশাসনকে সহযোগিতাই করছেন।