বহুল আলোচিত ওই মুফতি আকবর হজ্ব গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে নিবন্ধন না করে দুই হাজার হজযাত্রীর প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে ২০১৯ সালে বিদেশে পালিয়ে যান তিনি।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী সোমবার (১১ অক্টোবর) পাশের উপজেলা অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে বিয়ে করতে যান।
কনে ওই গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে খাদিজা পারভীন লিপি। ৩৩ বছরের এ নারীরও এটি দ্বিতীয় বিবাহ। তার আগের ঘরে দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে আসায় বর দেখতে ভিড় জমায় অসংখ্য মানুষ।
মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আমার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই বিয়ে হয়েছে। আমি খুবই ব্যস্ত মানুষ। সময় বাঁচাতে হেলিকপ্টারে করে গিয়েছিলাম।
এ বিয়ের ঘটক অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালি মহিলা মাদরাসার সুপার আশেক এলাহী জানান, দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে এই বিয়ে হয়েছে। দুই পরিবারের মানুষ ছাড়া বিয়েতে আর কেউ উপস্থিত ছিল না। হেলিকপ্টারে বর আসার খবরে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ বিয়ে দেখতে আসেন।
হজ্ব যাত্রীদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী বিদেশে পালালেও তার স্ত্রী আবাবিল ওভারসিজের মালিক তামান্না রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আলোচিত মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী যশোর জামেয়া ইসলামীয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা, মহাপরিচালক এবং আল ফারুকী প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান।