যশোরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া হক রিফা হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার সদর উপজেলার ছোট হৈবতপুর গ্রামের তাসফিয়ার বাবা তোজাম্মেল হক লিটন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে এই মামলাটি করেছেন।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আর কোন মামলা হয়েছে কিনা সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়।
তাসফিয়ার বাবা মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী মানিকদিহি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার মেয়ে তাসফিয়া হক রিফা একই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। গত ৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে স্ত্রীকে স্কুলে পৌছে দিয়ে বাড়ির সামনে নিজের দোকানে বসে ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে বাড়ির গেট বন্ধ পেয়ে রিফাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়না। শেষমেষ দেয়াল টপকিয়ে বাড়ির ভেতরে যেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। তিনি দেখতে পান তার মেয়ে তাসফিয়া হক রিফার মুখ, চোখ, হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় গলায় ওড়না পেচিয়ে জানালার গ্রিলের সাথে ঝুলে রয়েছে। তবে ঝুলন্ত থাকলেও রিফার পা মাটিতেই ছিলো। পরে তাকে নামিয়ে পাশর্^বর্তী ডাক্তার আব্দুস সবুরের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তার মেয়ে তাসফিয়া হক রিফার মুখ, চোখ, হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে জানালার গ্রিলের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দেন। কিন্তু থানা পুলিশ সেই অভিযোগ গ্রহণ না করে তারা একটি কম্পিউটার কম্পোজকৃত কাগজে সাক্ষর করিয়ে নেন। পরে জানতে পারেন এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।