আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ২:৪৯

১০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন শাহারুল ইসলাম।

যশোর প্রতিনিধি :  সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের বি-পতেঙ্গালী কলোনী (৮ নং ওয়ার্ড ) এলাকায় আজ সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় নিম্ন আয়ের ১০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন যশোর সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম।

ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম খাদ্য সহায়তা প্রদান কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন
দূর্যোগের এই সময়ে বংলাদেশের সমগ্র ইউনিয়ন সহ আমাদের ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু দিয়েছেন। ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করেছেন। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা ভাতা হিসাবে ২৩০০ লোককে ৩০০০ / ৪৮০০ করে টাকা, ১০০০ মানুষকে ২৫০০ করে ২৫ লক্ষ টাকা ও ৮ হাজারের বেশি ত্রান-সাহায্য দিয়েছেন। জমি আছে ঘর নেই প্রকল্প- ২ এর মাধ্যমে ২৫ টি ঘর দিয়েছেন। ১৬৫০ পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি করে চাউলের কার্ড দিয়েছেন, আমাদের প্রতিটি মহল্লা ও গ্রামের রাস্তা করে দিয়েছেন, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ দিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছেন। উন্নয়নের জন্য মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন।

গর্ভবতী ভাতা প্রসংগে বলেন, গর্ভবতী ভাতা হিসাবে ১৫০ পরিবারের মাঝে প্রতিটি গর্ভবতী মহিলাকে প্রথম কিস্তিতে ৭৫০০ টাকা সহ মোট ৪৯০০০ টাকা দিয়েছেন।
সুস্থ মা সুস্থ সন্তান উপহার দেয়, অসুস্থ মা অসুস্থ সন্তান উপহার দেয়। সুষ্ঠু সবল জাতি গঠন করার জন্য সরকার এই ভাতা দিয়েছেন। এই টাকা নিয়ে গর্ভবতী মাকে ভিটামিন, পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াবেন। এই টাকা নিয়ে কিস্তি বা অন্য কাজে লাগাবেন না। আমার গর্ভবতী মা, বোনদের জন্য খরচ করবেন।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন আমি ত্রান-সাহায্য পেয়েছিলাম মাত্র ১৩০০ পরিবারের জন্য। কিন্ত আমি গরীব অসহায় মানুষের জন্য নিজের থেকে দলমত নির্বিশেষে প্রায় ১৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। ১০০ মেধাবী ছাত্রীকে সাইকেল দিয়েছি। আসলে দেওয়ার ইচ্ছাটা মানুষের মনের ব্যাপার। সমাজের বিত্তবান ব্যাক্তিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের মধ্যে যদি কাউকে কিছু দেওয়ার সামর্থ থাকে তাহলে আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারাও মানুষের পাশে দাড়ান।

এসময় তিনি আরও বলেন, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। মা বাবার মনে যদি কেউ কষ্ট দেন তা হলে তার অভাব অনটন কোন দিন যাবে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে বাসা থেকে বের হবেন দেখবেন সব কিছুতেই সফল হবেন। মায়ের যত্ন না করলে ইহকাল ও পরকালে কিছুই পাবেন না। মাকে সবাই বেশি বেশি ভালোবাসবেন এবং যত্ন করবেন। শাশুড়ি ও বউমা সম্পর্কে বলেন, বউ শাশুড়ি মা সন্তানের মত থাকবেন, শাশুড়িকে মায়ের মত সেবা করতে হবে এবং শাশুড়ির উদ্দেশ্যে বলেন বউকে নিজের মেয়ের মত ভালোবাসতে হবে তা হলে দেখবেন পরিবারের মঝে কোন অশান্তি সৃষ্টি হবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিল আরাবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, ৮ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য উজ্জ্বল এবং সংরক্ষিত ইউপি সদস্য কেয়া, ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি তালেব গাজী, ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, ৯ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক বাবলু, আশরাফুল ইসলাম আশা, রায়হান, হাসান, রমজান, ইউনুছ সহ অন্যান্য যুবলীগ নেতৃবন্দ।

আরো সংবাদ