আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:২৫

১২ জনের বিরুদ্ধে বুনো আসাদের মা এর পালটা মামলা

যশোর শহরের বেজপাড়া বনানী রোডের আসাদুজ্জামানের বাড়িতে চাঁদার দাবিতে ভাঙচুর লুটপাট ও ছোট ভাই সাঈদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা হয়েছে। বুধবার আসাদুজ্জামানের মা নুরন্নাহার বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমুর দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলো বেজপাড়া বনানী রোডের মৃত খায়ের মিয়ার ছেলে লিপন ওরফে বস্তা লিপন, মদন সাহার ছেলে অমিত সাহা, আক্কাসের ছেলে চঞ্চল, খোকনের ছেলে আকাশ, বেজপাড়ার মেইন রোডের অনিল চক্রবর্তীর ছেলে অঞ্জন চক্রবর্তী, মোক্তার শিকদারের ছেলে নাসির শিকদার, সুনিল ব্যানার্জীর ছেলে গৌতম ব্যানার্জী, নাসির শিকদারের ছেলে সাগর, বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ের তোতা মিয়ার ছেলে মাসুন বিল্লাহ, বেজপাড়া কবরস্থান রোডের রাজিব, রায়পাড়া বস্তির বিল্লাল হোসেনের ছেলে বিপ্লব ও শংকরপুর আকবারের মোড়ের মাচুয়া কাশেমের ছেলে খাবড়ি হাসান।

মঙ্গলবার একই আদালতে বেজপাড়া মেইন রোডের মদন কুমার সাহা চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিযোগে আসাদুজ্জামানসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার সাঈদ ডেইরি ফার্ম ও মাছের ব্যবসা করেন। আসাদের স্ত্রী যশোর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের কর্মচারী। ছেলেদের নিয়ে একান্নবর্তী সংসারে নুরন্নাহার বেগম সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে আসাদ ও তার ভাই সাঈদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। আসাদ ও তার ভাই আসামিদের মাঝেমধ্যে আর্থিক সাহায্য করত। এর মধ্যে আসামিরা তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আসাদ শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিষয়টি অবহিত করেন। এতে আসামির ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৪ জুলাই গভীর রাতে আসাদের ডেইরি ফার্মে গিয়ে আসামিরা গালিগালাজ করতে থাকে। আসাদ বেরিয়ে আসলে সাগর সিকদার তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আসাদ পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এরপর আসামিরা আসাদকে খুঁজতে আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি ও ঘরের মালামাল তছনছ করে। আসাদের ঘরে তল্লাশির সময় তার স্ত্রী বাধা দিলে তাকে মারপিট ও গহনা ছিনিয়ে নেয়। এদিন সকালে আসামিরা সাঈকে ধরে অন্য আসামিদের হুকুমে খাবড়ি হাসান হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে। এরপর সাঈদ পড়ে গেলে মাসুম বিল্লাহ ও সাগর তাকে ছুরিকাঘাত করে। সাঈদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যায়। গুরুতর আহত সাঈদকে প্রথমে যশোর পরে খুলনা নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টার ও থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত