মাস খানেক আগে নেত্রকোনা থেকে হারিয়া যাওয়া ফরিদা বেগমকে (৪০) তার পরিবারের কাছে তুলে দিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। গত ২০ মার্চ দুপুরে ফরিদাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফরিদা বেগম নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কান্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের মেয়ে।
পিবিআই জানিয়েছে, গত ১৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীকে অজ্ঞাত হিসাবে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে যেহেতু কোন কথা বলতে পারেনি। ফলে তার পরিচায় জানা সম্ভব হয়নি। পিবিআই যশোর বিষয়টির খোঁজখবর নেয়। তার হাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে তা ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট আসে যে তার নাম পরিচয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার পর তার ভোটার আইডি কার্ড থেকে নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়। এরপর নেত্রকোনায় তার পরিবারর সাথে যোগাযোগ করা হয়। গত ২০ মার্চ ফরিদার দুই ভাগ্নিপতি আব্দুল গনি ও আবু চান মিয়া যশোরে আসেন এবং পিবিআই এর সাথে যোগাযোগ করে। পরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সুস্থ্য হলে ফরিদাকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
তারা জানিয়েছে, ফরিদা মানষিক প্রতিবন্ধী। কি ভাবে কার সাথে সে মাস খানেক আগে নেত্রকোনা থেকে যশোরে আসে তা তারা বলতে পারেননা। তাকে অনেক স্থানে খোঁজা হয়। পরে পিবিআই তাদের বাড়িতে সংবাদ দিলে তার পরিবারের সদস্যরা যশোরে এসে ফরিদাকে জিম্মায় নেন।