আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৭:১৬

২০ ফিটের রাস্তা হয়ে গেল ১৫ ফিট! এই অধিকার কে দিয়েছে দীপক বাবু? : উপশহরবাসী।

৪০ বছর ধরে নওয়াপাড়া টু জামরুল তলা দীর্ঘ এ মাটির সড়কটির প্রশস্ততা ছিল ২০ ফিট। ৪০ বছর পর খোয়া বিছিয়ে চলছে বিটুমিনেজ কার্পেটিং তাও আবার ১৫ ফিটের প্রশস্তা নিয়ে। ৫ ফিট গেল কই ? খোয়ার উপর বিটুমিনের কার্পেটিং কেন? সাববেজ গেল কই?

৫ ফিট বাদ দিয়ে খোয়া দিয়ে ভর্তি

যশোর সদর উপজেলার উপশহর ইউনিয়নের গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আওতাধীন নওয়াপাড়া টু জামরুল তলা লিংক রোড নির্মাণে ৫ ফিট হজম সহ নানা অনিয়ম ও নিম্ন মানের রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠেছে।

নওয়াপাড়া টু জামরুলতলা সংযোগ সড়কটির প্রশস্ততা ২০ ফিট।

দীর্ঘ ৪০ বছর অবহেলায় পড়ে থাকা মাটির এ সড়কটি বিটুমিনেজ কার্পেটিং হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তা ও আবার ১৫ ফিটের প্রশস্ততা নিয়ে। ৫ ফিট গেল কই? এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

ইটের খোয়ার উপর বিটুমিনেজ কার্পেটিং

যশোর জেলা আ’লীগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুকেন মজুমদার খানজাহান আলী 24/7 নিউজ কে বলেন,উপশহর এলাকায় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আওতাধীন রাস্তাগুলি যার যে প্রশস্ততা ছিল সে প্রশস্ততা অনুযায়ী বিটুমিনেজ কার্পেটিং করা হবে বলে আমাদের প্রথম আশস্ত করা হয়। গলি পথের রাস্তা নিজস্ব প্রশস্ততায় নির্মাণ ঠিকই হয়েছে তবে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। নওয়াপাড়া টু জামরুল তলা লিংক রোডটির ব্যাপারে তিঁনি বলেন রাস্তাটির প্রশস্ততা ২০ ফিট ১৫ ফিটের বিটুমিনেজ কার্পেটিং কেন হচ্ছে এ ব্যাপারে তিঁনি ঠিকাদারকে বাঁধা প্রদান করলে ঠিকাদার গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দিকে আঙ্গুল তোলেন, তখন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলি দীপক কুমার সরকার কে সাইটে ডাকলে তিঁনি বলেন, বাজেট সল্পতার কারনে ১৫ ফিট করে দিচ্ছি সামনের বাজেট আসলে বাকী ৫ ফিঠ ফের কার্পেটিং করে দিবো। এ সময় সুকেন মজুমদার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বলা হয় যতটুকু বাজেট আছে ২০ ফিট প্রশস্ততা নিয়ে ততটুকু করেন। সে কথা আমলে নেননি দীপক। সুকেন মজুমদার আরোও বলেন কোন একটি মহলকে সন্তুষ্ট করতে ৫ ফিট রাস্তা হজম হয়ে যাচ্ছে।

উপশহর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খাইরুল বাশার বলেন আমি সহ উপশহর বাসী গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অফিসে গিয়েছিলাম কিন্তু বাজেট সল্পতার কথা বলে আমাদের বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আমরা কেউ প্রকৌশলি নই সে কারনে আপাত দৃষ্টিতে যেখানে রাস্তাটি নিঁচু মনে হচ্ছে সেটা জানালে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক ভরাট করে উঁচু করে দিচ্ছে। গলি পথের যে সড়ক গুলি তৈরি করা হয়েছে সেগুলি খুবই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নির্মানের কিছুদিন পর থেকেই বিটুমিন উঠে যেতে শুরু করেছে, এসকল অভিযোগ জানালে দীপক কুমার সরকার জানিয়েছেন নতুন নতুন একটু সমস্যা হবে।

স্তুপকৃত সুড়কি

এ ব্যাপারে উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটুর ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উপসহকারী প্রকৌশলি দীপক কুমার সরকার জানান, রাস্তাটির প্রশস্ততা ২০ ফিট তবে বাজেট সল্পতার কারনে তা ১৫ ফিট বিটুমিনেজ কার্পেটিং করে নোয়াপাড়া টু জামরুল তলা লিংক রোডটি কমপ্লিট করছি। অর্ধেক কাজ করে ফেলে রাখলে ভাল দেখায়না সে কারনেই মূলত ১৫ ফিটের প্রশস্তায় কাজটি সম্পন্ন করছি। পরবর্তী বাজেট আসলে বাকী ৫ ফিট ফের কার্পেটিং করা হবে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাটিতে বালি ফিলিং সাববেজ এসবের তোয়াক্কা না করেই খোয়ার উপর পিচ দিয়ে কার্পেটিং করা হচ্ছে। যার ফলে নির্মাণের কিছুদিন যেতেই বিটুমিন উঠে যাচ্ছে। আগামি বর্ষার মৌসুম দূরের কথা শুকনা মৌসুমেই রাস্তার অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে এমন উৎকণ্ঠা উপশহর বাসীর। বার বার গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উপ-সহকারী প্রকৌশলি দীপক কুমার সরকারকে জানালেও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। সেচ্ছাচারী হয়ে যা ইচ্ছা তাই করছেন দীপক এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা একই সাথে দীপকের সেচ্ছাচারী হয়ে যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার কে দিয়েছে প্রশ্ন উপশহর বাসীর।

খানজাহান আলী 24/7 নিউজ / মুনতাসির মামুন / যশোর।

আরো সংবাদ