গত কিছুদিন যাবৎ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী সহ আশ-পাশের বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চুরির ব্যাপারে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর অভিযোগ করছিলেন ভুক্তভোগী সিএনজি মালিক এবং সিএনজি ড্রাইভাররা।সিএনজি চোরের উৎপাতে অতিস্ট ছিলেন ড্রাইভার ও মালিকরা।র্যাব ৭ এরুপ সিএনজি চোরদের গ্রেফতারে গোয়ান্দা নজরদারি শুরু করে।বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২ জুলাই আনুমানিক ২ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন মুহুরীহাট বটতল হযরত মোমেন শাহ সিএনজি গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ইফতেকার হাসান(১৮) কে আটক করতে সক্ষম হন র্যাব ৭। পরবর্তীতে ধৃত আসামীর স্বীকারোক্তি ও তার দেখানো মতে উক্ত গ্যারেজ হতে চোরাই ও রেজিষ্টেশন নাম্বার বিহীন ৫টি সিএনজি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ৫টি চোরাই সিএনজির আনুমানিক মুল্য ৩০,০০,০০০/-টাকা।
ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো স্বীকার করে যে, উল্লেখিত সিএনজি গ্যারেজটি ধৃত চোরাকারবারী ইফতেকার হাসান ও তার বাবা বদিউল আলম @ বদি পরিচালনা করে আসছে এবং উদ্ধারকৃত সিএনজিগুলো চোরাই সিএনজি। চোরাই সিএনজি জেনেও সে সিএনজিগুলি চোরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে তার গ্যারেজে রেখেছিল। উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামীর বাবা বদিউল আলম @ বদি ফটিকছড়ি থানার মামলা নং-১৩ তারিখ-২৭/০৯/২০১৪ খ্রিঃ ধারা ৩৭৯ পেনাল কোড এর আসামী।
স্থানীয় লোকজন জানান যে, আনুমানিক ০২ (দুই) মাস পূর্বে আসামীর বাবা বদিউল আলম @ বদি চোরাই সিএনজি রাখার অপরাধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে অবস্থান করছে। তার অবর্তমানে তার ছেলে ধৃত আসামী ইফতেকার হাসান চোরাই সিএনজির ব্যবসাটি পরিচালনা করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।