দফায় দফায় দাম বাড়ার পর কুষ্টিয়ার বাজারে অবশেষে কমেছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহ ধরে কুষ্টিয়ার খুচরা এবং পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা কমেছে। বিগত ছয় মাসের মধ্যে কুষ্টিয়ার বাজারে চালের দাম কমার এটিই প্রথম ঘটনা বলছেন বিক্রেতারা।
সরেজমিন কুষ্টিয়া পৌর বাজার এবং বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে সরু (মিনিকেট) চাল ৫৮ টাকা, কাজললতা ৫২ থেকে ৫৪ টাকা এবং মোটা চাল ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিগত কয়েক মাস ধরে কুষ্টিয়ার বাজারে চালের দাম দফায় দফায় বাড়ে। এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর চালের দাম বেড়ে যায়। করোনা মহামারির মধ্যেও চালের দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ ক্রেতারা।
কুষ্টিয়া পৌর বাজারে চাল কিনতে আসা স্কুলশিক্ষক আকমল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম যাতে কোনোভাবেই না বাড়ে সেজন্য সরকারের বিশেষ নজরদারি থাকা প্রয়োজন।
এদিকে চালের দাম কমলেও এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে কুষ্টিয়ার ধানের বাজারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরু (মিনিকেট) ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩২০ টাকা মণ। ২৮ ধান এবং কাজললতা বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা মণ।
কুষ্টিয়া শহরের মিউনিসিপ্যাল মার্কেটের খুচরা চাল বিক্রেতা নিশান আহম্মেদ বলেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়ে গেলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। এজন্য বাজার ঊর্ধ্বগতি থাকলে তারাও বেশি দামে চাল বিক্রি করতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে বলেন, মাস দেড়েক আগে দেশে ভারতীয় চাল ঢুকেছে। এ কারণে প্রায় ছয় মাস পর চালের বাজার কিছুটা কমেছে।
ধানের দাম এখনো কেন চড়া, এমন প্রশ্নের উত্তরে চাল ব্যবসায়ী এ নেতা বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের হাতে ধান নেই। ধান চলে গেছে ফড়িয়া ও বড় বড় ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা সিন্ডিকেট করে ধানের বাজার ধরে রেখেছে। যে কারণে বাজারে ধানের দাম কমছে না।
কুষ্টিয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, চালের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। সিন্ডিকেট করে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।