আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১১:৩০

৭ম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্র মাহাফুজ ঢালীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা!

বরিশালের বাবুগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ মাহাফুজ ঢালী(১৩)কে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে একই এলাকার বাশার ব্যাপরীর ছেলে মোঃ বাপ্পী ও এবায়দুলের ছেলে তামিম।

শনিবার সন্ধায় বাবুগঞ্জ উপজেলার এয়ারপোর্ট থানার চাঁদপাশা ইউনিয়নের পশ্চিম বকশিরচর গ্রামের ভাড়ানিকান্দা এলাকার মিজানের দোকানের পিছনে এমন ঘটনা ঘটেছে।

মোঃ মাহাফুজ ঢালী একই গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী মোঃ কালাম ঢালীর ছেলে এবং বকশিরচর দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র।

গুরুতর অবস্থায় মাহাফুজকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রবিবার দুপুরে ঢাকা স্থনান্ত্রিত করা হয়।

আহত মাহাফুজের বড় ভাই মাসুদ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ঘটনার দিন সকালে একটি মোবাইল ফোন ক্রয়কে কেন্দ্র করে মাহাফুজ, বাপ্পী ও তামিম’র মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ওই দিনই সন্ধায় পরিকল্পিত ভাবে ঘটনাস্থলে বাপ্পী ও তামিম মাহাফুজকে ডেকে নেয়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বাপ্পী ও তামিম তার গায়ে কেরোশিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় মাহাফুজের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তার গায়ের আগুন নিভিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে এক রাত চিকিৎসার পর মাহাফুজের অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে স্থনান্ত্রিত করেন।

তথ্যদাতা বলেন, তার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। মাহাফুজকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গমনকালে মোহনগঞ্জ বাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী মাসুদ নিজ দায়ীত্বে চিকিৎসা দেয়ার নাম করে তাদের পথ রোধ করার চেষ্টা করেছিলেন।

শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, মাহাফুজের শরীরের ২৩ ভাগ আগুনে পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যপারে এয়ারপোর্ট থানার ওসি এস এম জাহিদ বিন আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি বিষয়টি পর্যবেক্ষনের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা দায়েরপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো সংবাদ