আজ - বুধবার, ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৫:৪৮

007 ফেসবুক মেসেজ গ্রুপে দেয়া হয় রিফাত হত্যার নির্দেশনা

অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়েছিল বরগুনায় রিফাত হত্যার মূল আসামি নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরায়েজী। জেমস বন্ডের আদলে জিরো জিরো সেভেন নামের একটি গ্রুপ তৈরি করে এলাকায় নানা অপরাধ কর্মে জড়িত ছিল তারা। এ গ্রুপের ম্যাসেঞ্জারে আসে রিফাত হত্যার নির্দেশনা। ছিনতাই, হামলা-লুটপাট, মাদক বাণিজ্য-এমনকি ভাড়াটে কিলার হিসেবেও কাজ করত তারা।

বরগুনা পশ্চিম কলেজ সড়কের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাব্বির আহমেদ নয়ন। ডাক নাম নয়ন হলেও কর্মকাণ্ডের জন্য বন্ধুরা বন্ড উপাধি দেয়। ২০১৫ সালে কেজি স্কুল এলাকার একটি দোকানে বকেয়া না দেয়ায় ভাঙচুর চালিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালের ৫ মার্চ বিপুল মাদক ও অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে আটকের পর লাইম লাইটে চলে আসেন নয়ন।

এভাবে চলতে থাকে সাব্বিরের অপরাধ কার্যক্রম। এক সময় সখ্যতা গড়ে ওঠে ধানসিঁড়ি সড়কের বাসিন্দা দুলাল ফরায়েজীর ছেলে রিফাত ফরায়েজী সঙ্গে। জমে ওঠে রিফাত ও নয়নের বন্ড। চুরি, ছিনতাই, থেকে মাদক ব্যবসা, মোটরসাইকেল চুরি এমনকি তুচ্ছ ঘটনায় কুপিয়ে জখমের মতো ঘটনা ঘটায় এ বাহিনী। ছাত্রদের মেসে হানা দিয়ে মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে অর্থ দাবি ছিল তাদের নৈমিত্তিক কর্মকাণ্ড। এতসব ঘটনার পরও আইনের ফাঁক গলিয়ে বের হয়ে ফের তৎপরতা চালায় নয়ন রিফাত গ্রুপ। এদের অত্যাচারের শিকার হয়ে বিচার চাইতেও ভয় পেতেন ভুক্তভোগীরা।

প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। স্থানীয় মানুষকে রিফাত গ্রুপ অস্বস্তিতে রাখত বলে জানান তারা।

পরস্পর যোগাযোগের জন্য ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে জিরো জিরো সেভেন নামের একটি  গ্রুপ তৈরি করে তারা। সেখানে দেখা যায় রিফাত শরীফকে হত্যার আগের দিনগত রাত আটটার দিকে গ্রুপ সদস্যদের দা নিয়ে কলেজে থাকার নির্দেশ দেন রিফাত ফরায়েজী । বরগুনা সদর থানায় নয়ন ও রিফাতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও সব মামলায় এরা জামিনে ছিল।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, সাব্বিরের বিরুদ্ধে আগেই মাদক, অস্ত্র একটি ও মারামারির মামলা ছিল। সব অপরাধের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিগগির রিফাত হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে এমন প্রত্যাশা বরগুনাবাসীর

খানজাহান আলী 24/7 নিউজ / সাদাব হোসেন

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত