খান জাহান আলী 24/7 নিউজ : বৃহত্তর যশোরের রাজনীতিতে এখনো সবচেয়ে এগিয়ে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর- ০৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার। রাজনীতি চর্চা, সাংগঠনিক দক্ষতা আর দল গঠনে এগিয়ে চাকলাদারের অনুসারীরা।

যশোর সদর/শহরের রাজনীতিতে শাহীন চাকলাদার এগিয়ে

• যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের অনুসারী।
• যশোর শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের অনুসারী।
• যশোর জেলা ও সদর উপজেলা যুবলীগের অকিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ শাহীন চাকলাদারের অনুসারী।
• যশোর জেলা ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সিংহভাগ শাহীন চাকলাদারের অনুসারী।
• যশোর সদর উপজেলাধীন ১৫ টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের বেশিরভাগ নেতৃবৃন্দের শেষ আশ্রইস্থল শাহীন চাকলাদার।

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের একজন প্রবীন নেতা খানজাহান আলী 24/7 নিউজকে বলেন, “সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ভালো মানুষ ও খারাপ মানুষ যেখানে আছে, রাজনীতির ভেতরেও ভালো মানুষ ও খারাপ মানুষ আছে। চাটুকারদের কারণে যশোরের রাজনীতি নোংরা হচ্ছে। যশোরের রাজনীতিতে শাহীন চাকলাদারই সেরা। এখন রাজনৈতিক ফয়দা লুটটে অনেকেই ইচ্ছেমত রাজনৈতিক গ্রুপ তৈরি করছে। রাজনীতিটাই এখন তাদের কাছে অনেকটাই অনুপস্থিত। তাদের অনেকেই রাজনীতি করেন মঞ্চের পাশে এসে চেহারা দেখানোর জন্য এবং সেই চেহারাকে পরে পুঁজি করে নিজের আর্থিক মুনাফার জন্য। রাজনীতিতে পকেট ভরার জন্যই অনেকের সৃষ্টি হয়। লুটের টাকা খরচ করা যায় রাজনীতিতে চমক সৃষ্টি করার জন্য। অনেকেই মনে করছেন শাহীন চাকলাদার রাজনৈতিক ভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে তবে সেটা ভুল ধারণা কারণ…

• শাহীন চাকলাদার যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে এমপি হয়েছেন।
• যশোরের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের নিকট সংবর্ধিত হয়েছেন।
• বারবার যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দক্ষ সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠছেন।
• যশোরের প্রায় প্রতিটি উপজেলা সহ যশোর সদর ও শহর আওয়ামীলীগের শাহীন চাকলাদারের অনুসারী দক্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি যশোরে একটি গ্রুপ টাকার জোরে রাজনীতি পরিচালনা করছেন। যিনি শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থী হচ্ছেন তাকেই ঐ পক্ষ নিজেদের বলে দাবী করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এসব রাজনৈতিক দক্ষতার প্রমান নয়। যশোরে সবক্ষেত্রে নৌকার জয়ের জন্য শাহীন চাকলাদারের অনুসারীরা ভূমিকা রাখে। যশোরে শাহীন চাকলাদারের বিকল্প নেই।”

যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে যশোর -৬ আসনের সংসদ সদস্য :

শাহীন চাকলাদার ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একটানা ১১ বছর যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত বছরের ২১ জানুয়ারি সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যু হলে শূণ্য আসনটিতে নৌকা মার্কার মনোনয়ন পান শাহীন চাকলদার। পরে করোনার কারণে ঘোষিত উপ-নির্বাচনের তফশিল ২৯ মার্চ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ১৪ জুলাই ২০২০ সালে এ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে শাহীন চাকলাদার ১ লাখ ২৪ হাজার ৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের আগে শাহীন চাকলাদার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন যশোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষণা করে। ঐ পদে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার মনোনয়ন পান যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলার তখনকার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নূরজাহান ইসলাম নীরা। এর আগে ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে নুরজাহান ইসলাম নীরা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে যশোর সদরের রাজনীতিতে নীরা তখনও শাহীন চাকলাদারের গ্রুপিং এ সক্রিয় ছিলেন। এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া পর্যন্ত নূর জাহান ইসলাম নীরা শাহীন চাকলাদারের গ্রুপে রাজনীতি করতেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। এ সমীকরণে পাওয়া আর হারানোর পাল্লায় এগিয়ে শাহীন চাকলাদার।

যশোরের সর্বদলীয়, শ্রেণীপেশার মানুষের নাগরিক সংবর্ধিত হয়েছেন সাংসদ শাহীন চাকলাদার।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত, জেলার উন্নয়নে অবদান রাখায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শহরের ঐতিহ্যবাহী টাউন হল ময়দানে নাগরিক কমিটির ব্যানারে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে টাউন হল ময়দানে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সর্বস্তরের নাগরিক এই সংবর্ধনায় অংশ নেন। সেদিন আবেগআপ্লুত এমপি শাহীন চাকলাদার ঐতিহাসিক বক্তব্যে বলেন যশোরের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এসময় জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শাহীন চাকলাদারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদে সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) যশোরের সভাপতি একেএম কামরুল ইসলাম বেনু, জেলা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির সভাপতি সাকের আলী, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম দুলু, জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি অসীম কুন্ডু, জেলা মহিলা ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সায়েদা বানু শিল্পী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গাজী শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ।

তৃতীয় বারের মত যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শাহীন চাকলাদার

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আংশিক কমিটির ঘোষণা দেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের । এসময় তৃতীয় বারের মত যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শাহীন চাকলাদার। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের ঐক্যতা দেখে আমি মুগ্ধ। আজকের সম্মেলনে আপনাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ  আমার মনে থাকবে। ঐদিন শাহীন চাকলাদারের পক্ষে যশোরের ঈদগাহ ময়দানে উপস্থিত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিই প্রমান করে যশোরের রাজনীতিতে শাহীন চাকলাদার কতদুর এগিয়েছে।

যশোর সদর ও শহর আওয়ামীলীগ সম্মেলনে শাহীন চাকলাদারের জয়জয়কার

যশোর সদর ও শহর আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক মাঠের পুরোটা সাংসদ ও আ’লীগ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের দখলে। ২০১৯ সালের ১৬ ই নভেম্বর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে যশোরে আওয়ামী লীগের সদর উপজেলার শাখা ও শহর শাখায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন বাবু মোহিত কুমার নাথ। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমীন চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম। অন্যদিকে শহর শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এসএম মাহমুদ হাসান বিপু। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া ০৪ জনই শাহীন চাকলাদারের অনুসারী হওয়ায় প্রমান হয় যশোর সদর ও শহর আওয়ামীলীগের বাহবা কুড়ানোর একমাত্র দাবী রাখে শাহীন চাকলাদার। ভোটে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ পেয়েছিলেন ২৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেহেদী হাসান মিন্টু পেয়েছিলেন। সাধারণ সম্পাদক পদে শাহারুল ইসলাম ৩০৪ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলিমুজ্জামান মিলন পেয়েছিলেন মাত্র ২২০ ভোট। শহর শাখার ভোটে সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ পেয়েছিলেন ১৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম কামাল হোসেন পেয়েছিলেন মাত্র ৯৭ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে এসএম মাহমুদ হাসান বিপু ১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল কবীর বিজু পেয়েছিলেন ৭৭ ভোট।

যশোর সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গনমানুষের ঢল

সম্প্রতি যশোর সদরের আরবপুর ও লেবুতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, কম্বল বিতরণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শাহীন চাকলাদার এমপি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর যশোর সদর উপজেলাধীন ইউনিয়ন ভিত্তিক এই দুইটি সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেছেন শাহীন চাকলাদার। এসব আলোচনা সভায় হাজারো তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপস্থিতি আবারো প্রমান করছে শাহীন চাকলাদারের জনপ্রিয়তা এখনো তুঙ্গে। এসব জন সভায় যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শতভাগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দের সিংহভাগ শাহীন চাকলাদারের অনুসারী। এছাড়া যশোর সদর উপজেলা সহ প্রায় সকল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বা সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের রাজনৈতিক গ্রুপের অধীনস্থ। তাছাড়া যশোর জেলা যুবলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী সহ সম্প্রতি যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের নেতৃত্বে থাকা নেতাকর্মী শাহীন চাকলাদারের পক্ষে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক সকল কর্মসূচিতে অংশ নেন।

উল্লেখ্য গত টানা তিনবার যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এখন একজন স্বীকৃত সেরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরীক্ষিত। এজন্যই যশোরের রাজনীতিতে শাহীন চাকলাদার ই সেরা।

শাহীন চাকলাদার যশোর সদরের কাঁঠালতলায় জন্মগ্রহণ করেন। চাকলাদার ২০০৪ সাল থেকে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২১ জানুয়ারি ২০২০ সালে সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুর পর যশোর -৬ শূন্য আসনটির ১৪ জুলাই ২০২০ তারিখের উপনির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।