খানজাহান আলী 24/7 নিউজ : রূপদিয়া শহীদস্মৃতি মহা বিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি শাখার ল্যাব সহকারি ও সমিতি বোর্ড, যশোর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কোষাদক্ষ এম ডি ইয়াসিন আলী সোহাগের বিরুদ্ধে আমেরিকান প্রবাসীর জমি দখলসহ তাকে মারধর ও নগদ ১,০০০০০ (এক লক্ষ) টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধভাবে দখলকৃত জমি ফেরত পেতে ঐ প্রবাসীকে আসামীদেরকে নগদ ৫,০০০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা চাঁদা দিতে হবে অন্যথায় বাড়ীর সকলকে খুন করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।
যশোর সদর উপজেলাধীন ১৪ নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের মো: আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো: জিহাদী হোসেন (২৫) বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত,সদর,যশোর বরাবর কোতয়ালী থানাধীন চাউলিয়া গ্রামের ইয়াসিন আলী সোহাগ (২৭) কে প্রধাণ আসামী এবং তার পিতা ইউনুস আলী (৫০) কে ০২ নং আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মো: মনিরুজ্জামান, নরেন্দ্রপুরের আ: রহমান বিশ্বাসের ছেলে হাকিম বিশ্বাস, ইব্রাহীম বিশ্বাস, রহিম বিশ্বাস ও একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে তৌহিদুর রহমানকে সাক্ষী করে এ অভিযোগ করেছেন আমেরিকান প্রবাসী মো: জিহাদী হোসেন।
ফরিয়াদির বিবরণে বলা হয়েছে, যশোর জেলার কোতয়ালী থানাধীন মৌজা-২১০ (চাউলিয়া) আর এস ৮২/২২৩ দাগ নং ২৬৩/২৬৪/২৬৬ জমির পরিমান ২১ শতক খন্ডটি আমি (জিহাদী হোসেন) খরিদ করিয়া উহাতে স্বত্ববান ও দখিলকার রহিয়াছি। জমি খন্ডটি আমি খরিদ করার জন্য তথায় রাজমিস্ত্রী দ্বারা কাজ করাইতেছি। ০১/০২ নং আসামীদ্বয় আমার স্বত্ব দখলীয় তফসিল জমির পশ্চিম পার্শ্বের জমির মালিক। তাহারা অত্যন্ত দুর্দান্ত ও দুস্প্রকৃতির ব্যক্তিবর্গ। তাহারা আমাদের মালিকানাধীন তফসিল জমি জোর পূর্বক দখল করিয়া লইবার জন্য ঘোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রহিয়াছে।
প্রাচীর নির্মানের কাজ চলাবস্থায় আসামীগণ প্রায়শ: আমার নিকট চাঁদা হিসাবে ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা দাবী করিয়া আসিতে থাকে। আমি সর্বসময় আসামীগণকে চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিয়া আসিতেছি। এমতবস্থায় গত ঘটনার তারিখ ও সময়ে আমি আমাদের বসতবাড়ীর পূর্ব পোতার বসত ঘরে রাত্রের খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিছানায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি লইতেছিলাম তখন ০১/০২ নং আসামীদ্বয় তাহাদের দলে আরও অজ্ঞাত নামা ১০/১১ জন ব্যাক্তি একযোগে লোহার রড ও বাঁশের লাঠিসহ অবৈধ জনতায় দলবদ্ধ হইয়া আমাদের বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া আমাকে ডাকাডাকি করিতে থাকে। আমি বসত ঘরের দরজা খুলিয়া বাহিরে আসামাত্র আসামীদ্বয় ও অজ্ঞাত ১০/১১ জন ব্যাক্তি আমাকে মারপিট করিতে উদ্যত হয়।
আসামীদ্বয় এবং অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা সমন্বয়ে চিৎকার করিয়া বলে যে, আমরা দীর্ঘদিন যাবত তোমাদের নিকট ৫,০০,০০০(পাঁচ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছি। কিন্তু দাও নাই। এক্ষুনি উক্ত টাকা দিতে হবে। এরুপ বাক্যালাপ করিয়া আসামীগণ আমার বসত বাড়ির পূর্ব কক্ষে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করিয়া উক্ত ঘরের শোকেসের ড্রয়ারের মধ্যে রক্ষিত নগদ ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা বাহির করিয়া লয়। উক্ত টাকা আমি আমার বসত বাড়ীর প্রাচীর নির্মাণের জন্য রাখিয়াছিলাম। আমি বাঁধা দান করিয়া রক্ষা করিতে পারি নাই। আসামীগণ যাইবার কালে প্রকাশ্যভাবে ঘোষনা করিয়া যায় যে, অদ্য ১,০০,০০০(এক লক্ষ) টাকা চাঁদা হিসেবে লইলাম। বাকী ৪,০০,০০০(চার লক্ষ) টাকা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমাদেরকে না দিলে বাড়ীর সকলকে খুন করিয়া লাশ গুম করা হইবে। আসামীগণ তাহাদের হাতের অস্ত্রাদি প্রদর্শন করিয়া আমাদের জীবন নাশের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করিয়া পশ্চিম দিকে চলিয়া যায়। ০১/০২ নং আসামীদ্বয়ের হাতে লোহার রড এবং অজ্ঞাত নামা ১০/১১ ব্যাক্তির নিকট বাঁশের লাঠি ছিল। অসদুদ্দেশ্যে লাভবান হইবার জন্য আসামীগণ অত্র ঘটনা সংঘটিত করিয়াছে। স্বাক্ষীগণ ঘটনা অবগত আছেন।
মূলত প্রবাসী মো: জিহাদী হোসেন অ্যামেরিকায় ব্যবসা করেন। মামাদের থেকে জমি ক্রয়ের পর একাধিক সরকারী/বেসরকারী সার্ভেয়ার জমিটি পরিমাপের পর এ জটিলতার সৃষ্টি হয়। প্রবাসী হওয়ায় স্বল্প দিনেই পুরো জমি প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখার কাজ চলাকালীন এসব বাধা বিপত্তির স্বীকার হওয়ায় মো: জিহাদী হোসেন উপযুক্ত অবস্থাদি বিবেচনা পূর্বক আসামীগণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারী করত: হাজতাবদ্ধ করে মকদ্দমার সুবিচার চেয়ে গত ২১ মার্চ ২০২১ তারিখে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত,সদর,যশোর বরাবর এ অভিযোগ করেন।