আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১:২০

গড়াই-রূপসার তান্ডবে বাড়ছে লাশের মিছিল

নিজেস্ব প্রতিবেদক : যশোর খুলনা মহাসড়কের উল্লেখযোগ্য দ্রুতগামী পরিবহন গড়াই – রূপসা।খুলনা-কুষ্টিয়া রুটের এই গড়াই-রূপসার তান্ডবে আতঙ্কে জনজীবন।ঝুকিপূর্ণ ওভারটেক, মাত্রাছাড়া গতি সহ সময়ের সাথে পাল্লা দেওয়া এই পরিবহন দুটি সমানে বাড়িয়ে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা।

এক জরিপে বলা হচ্ছে যশোর- খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৮০ শতাংশ দুর্ঘটনার জনক এই গড়াই-রূপসা পরিবহন।নিয়মিত এসব দুর্ঘটনায় হাত পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই।কেউ কেউ দুর্ঘটনা স্থলেই চাকার সাথে পিষ্ঠ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছেন।

এ চিত্র নতুন নয় সপ্তাহের ব্যবধানে সদর উপজেলাধীন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কটির হাটবিলা এলাকায় প্রাণ হারালেন দুজন। আহত অনেকেই।

২২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রূপসা পরিবহনের একটি বাস নোয়াপাড়াতে একটি ইজিবাইককে ধাক্কা দিয়ে, পালিয়ে যাওয়ার সময় জামতলা নামক স্থানে প্রথমে একটি আইসক্রিম বহনকারি একটি পিকআপ ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে পরে আফিল ব্রিকস এর ইট বহন কারী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলেই অজ্ঞাত মহিলা নিহত সহ ১০ জন মারাত্মক ভাবে  আহত হয়েছেন। আহত দের, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর আসংঙ্খা জনক। উপস্থিত আফিল ব্রিকসের শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা গড়াই, রূপসা পরিবহন কিছু সময় আটক রেখে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করে। পরে পুলিশএসে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা দের সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের মাধ্যমে দোষী গড়াই, রূপসা বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ গড়াই রূপসা বাসের শুরু থেকে এরা বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। প্রতিদিন যশোর খুলনা মহাসড়কে কোথাও না কোথাও এই দুই বাস দূর্ঘটনার কবলে পতিত হচ্ছে। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে বলেন, কোন দূর্ঘটনা হলে পুলিশ এসে আশার বাণী শোনালেও কিছু দিন পর আবারও সেই আগের অবস্থা। এই সড়কের দূর্ঘটনার মূল হোতা এই গড়াই রূপসা পরিবহন।                         

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত