ঢাকা অফিস : বেসরকারী টিভি চ্যানেল এনটিভি’র বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকার মানহানী মামলা দায়ের করেছে রাজারবাগ দরবার শরীফ। দরবার শরীফের হযরত পীর সাহেবের নামে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ব্যাপক মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ মানহানিকর তথ্য প্রচারের দায়ে ঢাকা ৫ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে গতকাল এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার শুনানী শেষে বিচারক তারিক এজাজ বিবাদীদের প্রতি সমন জারী করেন। বাদী পক্ষে মামলা শুনানী করেন এ্যাডভোকেট নূরে আলম মোস্তফা এবং এ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন সুমন। মামলা নং ১০০/১৯।
মামলায় এনটিভি’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী, প্রধান বার্তা সম্পাদক জহিরুল আলম, বার্তা প্রধান খায়রুল আনোয়ার মুকুল, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সফিক শাহীন, নির্বাহী প্রযোজক আহসানুল হক পলাশ, চীফ ক্যামেরাম্যান জিয়া জহির পল্লবকে বিবাদী এবং মিথ্যাচারের কারণে সোহেল চৌধুরী, কমিন শাহ, এম এম সাইফুল্লাহ ও তামান্নাকে মোকাবেলা বিবাদী করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, বাদী একজন সম্মানিত এবং প্রজ্ঞাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। যিনি সকলের কাছে ঢাকা রাজারবাগ দরবারের সম্মানিত পীর সাহেব নামে সুপরিচিত। বংশের দিক থেকে তিনি সাইয়্যিদ। প্রায় অর্ধ শতাব্দী যাবত বাদী ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফের সম্মানিত পীর সাহেবের বিভিন্ন দ্বীনী, গবেষণামূলক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে উনার দেশ ও বিদেশে লক্ষ লক্ষ মুরীদ, ভক্ত-আশেকান, দোয়াপ্রার্থী তৈরী হইয়াছে, যাহার ফলশ্রুতিতে বাদী দেশ-বিদেশে “রাজারবাগ পীর সাহেব” নামে বিশেষ পরিচিতি, পরম শ্রদ্ধা ভক্তি ও সম্মান অর্জন করিতেছেন। বাদীর এমন প্রচার-প্রসার ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হইয়া কতিপয় ভণ্ড, প্রতারক, ধর্মব্যবসায়ী, সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসী, যুদ্ধাপরাধীদের দোষর, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বাদীর কষ্টার্জিত মান-সম্মান ক্ষুন্ন করিবার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইয়াছেন। তারা সম্মানিত বাদীর বিরুদ্ধে নানান মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ প্রোপাগান্ডা চালাইয়া বাদীর ব্যাপারে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জোর তৎপরতা চালাইতেছে। বাদীর বিরুদ্ধে ভণ্ড প্রতারক ধর্মব্যবসায়ী, যুদ্ধাপরাধীদের দোষর ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের অপপ্রচারের ধারাবাহিকতায় বিবাদীদের সহযোগিতায় এনটিভিতে প্রচারিত উক্ত ধারাবাহিক প্রতিবেদনে সম্মানিত বাদী ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ব্যাপক মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ মানহানিকর তথ্য প্রচার করিয়াছে। এজন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ এক হাজার কোটি টাকার মামলা দায়ের করা হয়।