স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলনকে ওয়ারেন্ট থাকায় আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি তিনি দীর্ঘদিন পালাতক ছিলেন।
রোববার শাহজালাল বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ দুবাই থেকে ফেরার সময় স্ত্রী, সন্তানসহ মিলনকে গ্রেফতার করে। স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর মিলনকে যশোর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, রোববার ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকার শাহ্ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ মিলনকে আটক করে। মিলন যশোর কোতয়ালি থানার তিনটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি। মামলা গুলো তদন্ত করছে যশোর ডিবি পুলিশ। ওয়ারেন্ট নাম্বার হচ্ছে এস টিসি ২২৫/১৬, এস টিসি ২৬৩/১৫, এর জি আর ৪১৮/১২, এস টিসি ২৪৮/১৭। এসব মামলায় দীর্ঘদিন মিলন পলাতক থাকায় যশোর পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন থানায় ও ইমিগ্রেশন গুলোতে ইনফরমেশন দেয়া ছিলো। এর ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ মিলনকে আটক করে ডিবি পুলিশকে খবর দেয়। সোমবার ১৩ জানুয়ারি সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ মিলনকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
তৌহিদুল ইসলাম আরো জানান, রোববার রাতে মিলন দুবাই থেকে শাহ্ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছুলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।
ডিবির ওসি মারুফ আহমেদ জানান, মিলন কাজিপাড়ার সোহাগ হত্যা, সিনবাদ হত্যা, হাতকাটা মুনির হত্যাসহ বেশ কয়েকটি হত্যার সাথে পরোক্ষ ভাবে জড়িত। সোহাগ হত্যা মামলার আসামি আকাশ আটকের পর সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দেয় মিলনের নির্দেশে সোহাগকে হত্যা করা হয়। এছাড়াও মিলনের নামে কোতয়ালি থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে।মামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- কোতোয়ালি থানার মামলা নম্বর ৪৪, তারিখ ২৭/১০/২০১৯; মামলা নম্বর ১১০, তারিখ ২৯/০৯/২০১৯; মামলা নম্বর ৯৫, তারিখ ১৯/০৮/২০১৭; মামলা নম্বর ১১৩, তারিখ ২৬/০৮/২০১৯; মামলা নম্বর ৪৮, তারিখ ০৮/০৪/২০১২, মামলা নম্বর ১২২, তারিখ ২২/০৬/২০০৬; মামলা নম্বর ৬০, তারিখ ১৬/০৪/২০০৬; মামলা নম্বর ০৩, তারিখ ১৪/০৪/২০০৬; মামলা নম্বর ১৮, তারিখ ০৫/০৪/২০০৬; মামলা নম্বর ১১১, তারিখ ০৫/০৪/২০০৫।
মঙ্গলবার সকালে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করবে পুলিশ।
জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন মিলন শহরের কাজিপাড়া মানিকতলা এলাকার মৃত শেখ রুস্তম আলীর ছেলে।