স্টাফ রিপোর্টার।। দৈনিক নওয়াপাড়ার সম্পাদক আসলাম হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার যশোরে আদালতে মানহানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন বহু বিতর্কিত ৫ম শ্রেনি পাশ হোমিও চিকিৎসক নামধারী মুনসুর আহমেদ নামে সেই প্রতারক ও মাদক ব্যবসায়ী। উপজেলার বুইকারা গ্রামের মৃত নায়েজ বিশ্বাসের ছেলে হোমিও চিকিৎসক নামধারী মুনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে হোমিও চিকিৎসার আড়ালে দেশি মদ বিক্রির ভিডিওসহ দৈনিক নওয়াপাড়ায় সংবাদ প্রকাশের একমাস পর তিনি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও তখন বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায়ও তার এ অপকর্মের সংবাদ ফলাও করে প্রকাশিত হয়। মামলায় অভিযুক্ত অপর দু জন হলেন দৈনিক নওয়াপাড়ার স্টাফ রিপোর্টার সাকিব জিকো ও আর আই রাজা। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন। বাদী মনসুর আহমেদ অভিযোগ করেছেন, নওয়াপাড়া বাজারে তার বন্যা হোমিও সেন্টার নামে একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে সাংবাদিক সাকিব জিকো ও আরআই রাজা তার কাছে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদার টাকা না দিলে নওয়াপাড়া বাজারে তাকে ব্যবসা করতে দিবেন না বলে তারা হুমকি দেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি তারা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে টাকা দাবি করেন। এ বিষয়টি তিনি পত্রিকার সম্পাদককে জানান। এ ঘটনার পর ২ ফেব্রুয়ারি উল্লিখিতরা পরিকল্পিতভাবে ‘হোমিও দোকানে বিক্রি হচ্ছে দেশি মদ’ শিরোনামে পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করেন।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এতে বাদীর সম্মানহানি ঘটেছে। কিন্তু এ ঘটনায় এ লিগ্যাল নোটিস দেয়া হলেও তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, হোমিও ডাক্তার নামধারী মুনসুরের বিদ্যার দৌড় পঞ্চম শ্রেনি পর্যন্ত বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মিঠু বিশ্বাস, এবং তিনি নওয়াপাড়া বাজারের একটি হোমিও প্যাথিক ওষুধের দোকানে সময় কাটানোর সুবাদে ডাক্তারী শিখেছেন বলেও তার ছেলে জানিয়েছেন(যা দৈনিক নওয়াপাড়া কার্যালয়ে রেকর্ডভূক্ত রয়েছে।) বছরের পর বছর যাবৎ পঞ্চম শ্রেনি পাশ এ মুনসুর বিশ্বাস চিকিৎসার নামে শতশত মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো।
সেই সাথে হোমিও প্যাথির শিশিতে দেশি বাংলামদ বিক্রি করে প্রশাসনের চোখকে ধোঁকা দিয়ে আসছিলো মুনসুর। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে দৈনিক নওয়াপাড়ার স্টাফ রিপোর্টার সাকিব জিকো ও আর আই রাজা অনুসন্ধানে নামে। এবং অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পায় যা ভিডিও চিত্র ধারন করে দৈনিক নওয়াপাড়ায় ভিডিওসহ সংবাদ প্রকাশ করে। সেই সাথে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায় ফলাও করে তার এ অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করা হয়।