আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৫:২২

হোম কোয়ারেন্টাইন কী?

স্টাফ রিপোর্টার।। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাতে বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ইতিমধ্যে করোনাকে মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনা ভাইরাস সন্দেহে যে কাউকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি। কিন্ত এই কোয়ারেন্টাইন কি? সেটা নিয়ে রয়েছে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। তাই অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চান না।
করোনাভাইরাসে যে ব্যক্তি আক্রান্ত বা কারও সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের আলাদা করে রেখে রোগের প্রসার ঠেকানোর নাম কোয়ারেন্টিন।
সিডিসি বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিন করার কথা বলেছে। ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর থেকে রোগের পূর্ণ প্রকাশ হতে ১৪ দিন সময় লাগে। সে জন্য হোম কোয়ারেন্টিন করতে বলা হয়েছে ১৪ দিনের জন্য। হোম কোয়ারেন্টিন মানে আপনি থাকবেন নিজের বাড়িতে, কিন্তু যত দূর সম্ভব অন্য কারও সংস্রব বাঁচিয়ে।


হোম কোয়ারেন্টাইনে আপনি কি করবেন…
১.নিজের বেডরুমে থাকুন। একা থাকুন।
২.সম্ভব হলে নিজের আলাদা টয়লেট ব্যবহার করুন।
৩.নিজের তোয়ালে, গামছা, ব্যবহার করুন। নিজের বিছানা আলাদা রাখুন।
৪.যথাসম্ভব সাক্ষাৎ এড়িয়ে চলুন, এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।
৫.যে কারও সামনে মাস্ক পরে থাকুন।
৬.অন্যের সঙ্গে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।
৭.ঘন ঘন হাত ধুয়ে ফেলুন।
যেসব জায়গায় বারবার স্পর্শের সম্ভাবনা আছে, সেগুলো দিনশেষে ভালো করে জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে ফেলুন। যেমন দরজার হাতল, কম্পিউটার, ফোন, টয়লেট ইত্যাদি।

হোম কোয়ারেন্টিন তাঁর জন্য, যিনি এখনো পজিটিভ হননি। কেউ পজিটিভ হয়ে থাকলে তাঁদের হাসপাতালে আলাদা করার নাম আইসোলেশন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত