কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধে সোমবার পর্যন্ত উভয়পক্ষের ৮৪ জন সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন ১১ জন বেসামরিক (আজারবাইজানের ৯ জন, আর্মেনিয়ার ২ জন)। এ নিয়ে মোট ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এই যুদ্ধে।
এদিকে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আর্টসান হোভান্নিসায়ান অভিযোগ করেছেন, আজারবাইজান বাহিনী কারবাখ ফ্রন্টলাইনের দক্ষিণ এবং উত্তর-পূর্ব সেক্টরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২০০ সেনা আহত হয়েছেন। অনেকের আঘাত সামান্য হওয়ায় তারা পুনরায় যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন।
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে আজারবাইজানের প্রসিকিউটররা বলেছেন, আর্মেনিয়ান বাহিনীর সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যায় আজারবাইজানের অঞ্চলে গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন।
চলমান এ যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন এবং সংলাপে বসতে দুই দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন। নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতারাও।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর দেশ দুটি স্বাধীন হয়। গত চার দশক ধরে নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চল নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে আছে দুই প্রতিবেশী। নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইনের অংশ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও আর্মেনিয়ার নৃগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে এলাকাটি।