চলতি মাসের প্রথম ২৯ দিনে ১৯১ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর এর ওপর ভর করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার বা ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
গতকাল দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৩১৭ কোটি ডলার। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এর ফলে ডিসেম্বর মাসে রিজার্ভ নতুন দুটি মাইলফলক অতিক্রম করল।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রমিকেরা ফিরে এলেও আয় বাড়ছে। কারণ, বিদেশে চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় অবৈধ পথে আয় আসা কমে গেছে। এ জন্য বৈধ পথে আয় বাড়ছে। আর আমদানি কমে যাওয়ায় রিজার্ভে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে।
জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয় ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ। আরেকটি রেকর্ড হচ্ছে, এই মাসে মোট প্রবাসী আয় ১০ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। এই পাঁচ মাসে আসা মোট প্রবাসী আয় হচ্ছে ১ হাজার ৯০ কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আর ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৫ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। গত নভেম্বরে আসে ২০৭ কোটি ডলার। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৩৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এসেছিল ৭৭১ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
তবে চলতি মাসের প্রথম ২৯ দিনেই আয় আসে ১৯১ কোটি ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরের ২৯ দিনে এসেছিল ১৫৯ কোটি ডলার।
প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে সরকার। এরপর থেকেই প্রবাসী আয়ে গতি এসেছে। তবে করোনার পরে তাতে নতুন মাত্রা দেখা দিয়েছে।