বরিশাল নগরীর রূপাাতলী হাউজিং এলাকায় গভীর রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেসে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে হামলার ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, রূপাতলী বাস স্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিকরা গভীর রাতে হামলা চালিয়ে ১১ শিক্ষার্থীকে গুরুতর জখম করেছে। আহত
শিক্ষার্থীরা সকলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গভীর রাতে এ হামলার ঘটনায় আজ বুধবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কুয়াকাটা এক্সপ্রেস নামের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পুলিশ সদস্যরা পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১১টা) বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে বৈঠক করছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ক্যাম্পাস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত ও লাঞ্ছিত করার পর হামলাকারী পরিবহন শ্রমিকের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থরা। এরই জের ধরে সড়ক অবরোধের সময় নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের মেসে গভীর রাতে হামলা চালায় শ্রমিকরা। এ ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, রাতে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনিসহ অপর শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।