আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - বিকাল ৫:১৯

আইপিএল নিয়ে সৌরভদের বিরুদ্ধে হাজার কোটির টাকার মামলা

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পর্যদুস্ত পুরো ভারত। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লাখের বেশি মানুষ সংক্রমিত, মৃত্যু বরণ করছে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিনহাজার মানুষ। অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিন মৃ্ত্যুবরণ করছে শত শত মানুষ। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই দিব্যি আইপিএলের খেলা চালিয়ে নিচ্ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে আইপিএল চালানো নিয়ে তুমুল সমালোচনার শিকার হয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, বিসিসিআই। ভারতজুড়ে প্রশ্ন উঠেছিল, শত কোটি টাকা খরচ করে আইপিএল চালানো হচ্ছে কার স্বার্থে?

কিন্তু এতদিন পর্যন্ত কোনো কথারই প্রভাব পড়ছিল না আইপিএল কর্মকর্তাদের ওপর। অবশেষে মাঝপথেই আইপিএল থামিয়ে দিতে বাধ্য হল বিসিসিআই। একের পর এক ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে ২৯টি ম্যাচ হওয়ার পর আপাতত আইপিএল স্থগিত। ফাইনালসহ বাকি ছিল আরও ৩১টি ম্যাচ। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বাকি ম্যাচগুলো করার কথা ভাবা হবে। সেটা কবে, তা এখনই জানা যাচ্ছে না।

মহামারির এমন পরিস্থিতিতে আইপিএল আয়োজনের জন্য এবার বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী ভনাদন শাহ। মুম্বাই হাইকোর্টে তিনি এই মামলা দায়ের করেন। সেই আইনজীবী জানিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা আদায় করে তা দেশে করোনা মোকাবিলায় ব্যবহার করা উচিত।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘মহামারিতে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন হয় কী করে? আইপিএল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়। বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে প্রাণ হারাচ্ছেন। বহু মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমন সময় এত টাকা খরচ করে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের অর্থ কী? বরং দেশের এই দুঃসময়ে বিসিসিআই ওই টাকা মানুষের জন্য অনুদান দিক।’

বিসিসিআই বারবার দাবি করেছিল, ‘আইপিএল খেলতে আসা ক্রিকেটাররা বিশ্বের অন্যতম সেরা জৈব সুরক্ষা বলয়ে রয়েছে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।’

কিন্তু আইনজীবী ভনাদন শাহ এসবের কিছুই মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটাররা বায়ো বাবলে বলেছেন ঠিকই। তবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানছেন না। সামান্য ভুল সংক্রমণের সম্ভাবনা ডেকে আনতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই টুর্নামেন্ট আয়োজন মেনে নেওয়া যায় না। মাঠে নেমে এত খেলোয়াড়রা ম্যাচ খেলছেন। সাপোর্ট স্টাফসহ আরও অনেকেই মাঠে বসে থাকছিলেন। সংক্রমনের আশংকা তো থেকেই যায়।’

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত