অনাকাঙ্খিত এক ঝামেলার মুখে পড়তে যাচ্ছেন বার্সেলোনার সুপারস্টার লিওনেল মেসি। করোনার মধ্যেই সতীর্থদের নিয়ে নিজের বাড়িতে আয়োজন করলেন পার্টি। দাওয়াত করে খাওয়ালেন পিকে, বুস্কেটস, জর্দি আলবাদের। এখন এ ঘটনাতেই তোলপাড় পুরো স্পেনজুড়ে। কাতালোনিয়ার স্থানীয় সরকার এই ঘটনার তদন্ত করতে মাঠেও নেমে পড়েছে।
মেসির বিরুদ্ধে করোনাবিধি ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ আনা হচ্ছে। এই অভিযোগেই এরমধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে বার্সা অধিনায়ককে।
মূল ঘটনাটা আসলে কী? ৩ মে এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছিলেন মেসি। স্প্যানিশ লা লিগা জয়ের সম্ভবনা টিকে আছে বার্সার সামনে। যে কারণে সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে নিজের বাসায় দাওয়াত দেন মেসি।
এ নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, গত সোমবার রাতে নিজের বাড়িতে পার্টির আয়োজন করেছিলেন মেসি। নিয়মানুযায়ী, যেখানে ছয়জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারার কথা নয়, সেখানে বার্সেলোনার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন মেসির সেই পার্টিতে।
কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন তাদের স্ত্রী, বান্ধবীরাও। জানা গেছে, গত রোববার ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে জয় এবং গত মাসে কোপা দেল রে জয়ের কারণেই মূলতঃ এই পার্টির আয়োজন। পাশাপাশি বাকি মৌসুমের জন্য দলকে উদ্বুদ্ধ করাও লক্ষ্য ছিল মেসির। সে কারণেই বার্সেলোনায় নিজের বাড়িতেই পার্টির আয়োজন করেছিলেন বার্সা অধিনায়ক। তবে সেটা করতে গিয়েই নিয়মভঙ্গ করে ফেলেছেন তিনি।
এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে মেসির বাড়ি থেকে ফুটবলারদের বেরুতে দেখা যাচ্ছে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় বার্সেলোনায়।
করোনার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, গত বছর দেখেছিল স্পেন। যে কারণে এখনও দেশটিতে বলবৎ রয়েছে কোভিড সংক্রান্ত বেশ কিছু বিধিনিষেধ। এরমধ্যে একটি হল বাড়িতে পার্টির আয়োজন করলে, তাতে ছয় জনের বেশি উপস্থিত হতে পারবেন না।
কিন্তু মেসির বাড়ির ওই পার্টিতে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এ কারণেই নড়েচড়ে বসেছে লা লিগা প্রশাসন। এরইমধ্যে ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লা লিগার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মেসির পার্টিতে কোভিডবিধি ভাঙা হয়েছে কিনা আমরা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পেরে আরাগোন্স জানিয়েছেন, যত বড় ব্যক্তিই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বরং, এর মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে। তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে যে কোনো ধরনের পদক্ষেপই আমরা নেবো। তদন্ত চলমান।’