আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ২:১৩

ভারতে একদিনে আরও ৪০৯২ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪ লাখের বেশি

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারতের অবস্থা যেন বর্ণনারও অতীত। এ ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টে দেশটিতে প্রতিদিনই রেকর্ডসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত এবং মারা যাচ্ছেন। যেনো পরিস্থিতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর সারি, আক্রান্তও হচ্ছে লাখে লাখে। মহামারি এ ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন মানুষের মনে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার হাজারের ঘর। তবে শনিবারের তুলনায় রোববার কিছুটা কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও রয়েছে চার লাখের ওপরে।

রোববার (৯ মে) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৩৮ জন। যা শনিবারের তুলনায় প্রায় ২ হাজার বেশি। সর্বশেষ এই পরিসংখ্যান নিয়ে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৪ জনে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছে ৪ হাজার ৯২। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪২ হাজার ৩৬২ জনে।

মহামারির শুরু থেকে হিসেব করলে শনিবার ভারতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে রোববার সেই সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ছাড়িয়েছে চার হাজারের গণ্ডি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৯২ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৩৬২ জনে।

ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত মানুষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান নিয়ে দেশটিতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ ৩৭ হাজারে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুসারে, করোনায় একদিনে চার হাজারের বেশি মৃত্যু দেখা তৃতীয় দেশ ভারত। এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে একদিনে এত বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত