যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ জন মারা গেছেন। মঙ্গলবার শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ।
যশোর সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময় মারা গেছেন ১০ জন। যা জেলার সর্বোচ্চ রেকর্ড। শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ। ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। আক্রান্তদের মধ্যে সাংবাদিক ও যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন।
এছাড়া হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি আছেন ৮৯ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন ৬৫ জন। শয্যা খালি না থাকায় অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালের মেঝেতে রাখা হয়েছে। এখন হাসপাতালের মেঝেতেও জায়গা নেই।
যশোর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বলেন, যশোরে করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী। কঠোর লকডাউন ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। হাসপাতালে করোনা রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। চাপ কমানোর জন্য মঙ্গলবার থেকে বেসরকারি জনতা হাসপাতালে ভারতফেরত রোগীদের রাখা হচ্ছে।
এদিকে, শনাক্তের এ ঊর্ধ্বগতি রুখতে জেলার ৫ পৌরসভা ও ৯ ইউনিয়নে লকডাউন বলবৎ রয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট মৃত্যু ১২২ জনের। মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ৫৩ জন। মোট সুস্থ ৬ হাজার ৭৮৮। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮৯ জন। লকডাউন কার্যকরের কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেইসাথে রোগীর চাপ সামাল দিতে নতুন ওয়ার্ড খোলার পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান।
তিনি জানান, যশোরে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শনাক্তের এ ঊর্ধ্বগতি রুখতে কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকরে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। বিধিনিষেধ মানাতে আরও কঠোরতা আরোপ করা হবে। সেইসাথে জনগণকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।