আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - ভোর ৫:৪৮

ইউরো সেরার ট্রফি পৌঁছাল ইতালিতে, রোমে বাধভাঙা আনন্দের ঢল

সেই ১৯৬৮ সালে সর্বশেষ ইউরোর শিরোপা জিতেছিল ইতালি। এর মধ্যে আরও দু’বার ফাইনালে উঠেছিল। ২০০০ সালে এবং ২০১২ সালে। ২০০০ সালে জিদানের ফ্রান্সের কাছে এবং ২০১২ সালে সর্বজয়ী স্পেনের কাছে হেরে শিরোপাহীন থাকতে হয়েছিল আজ্জুরিদের।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ এবার পূর্ণ করলো ইতালিয়ানরা ইউরো জিতেই। কোচ রবার্তো মানচিনির অধীনে আমূল বদলে গেলো ইতালি ফুটবল দল। সেই দলটি ইউরোর ফাইনালে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিযামে ১২০ মিনিটের ম্যাচ ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো।

ইংল্যান্ডের ৫৫ বছরের অপেক্ষাকে আরও দীর্ঘায়িত করে আজই ট্রফি নিয়ে রোমে পৌঁছে গেলো কিয়েল্লিনিরা। স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে ভাসছে এখন রোম। রোববার রাতে ওয়েম্বলির গ্যালারিতেই দেখা গিয়েছিল পোস্টার, ‘‌ইউরো আসছে রোমে।’‌

সেটাকেই বাস্তবায়িত করেছেন ডোনারুমা, কিয়েল্লিনিরা। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রোম এবং ইতালির অন্যান্য শহরের রাস্তায় সমর্থকদের ঢল নামে ৷ করোনার মধ্যেও নাচ-গান, সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন ইতালির সমর্থকরা ৷

রোববার রাতের ঘোর এখনও কাটেনি ইতালিয়ানদের। পেনাল্টি শ্যুট আউটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ইউরো কাপ জিতে নিয়েছেন রবার্তো মানচিনির শীষ্যরা। লড়াইটা নিঃসন্দেহে কঠিন ছিল। কিন্তু রোববার ওয়েম্বলিতে অন্য গল্প লিখেছে ইতালি।

আর সেই জয়ের ঘোর কাটার আগেই সোমবার রোমে পৌঁছে গেছে মানচিনির দল। নায়কদের বরণ করে নিতে রোমের রাস্তায় উপচে পড়ে জনতার ভিড়।

ইউরোর লম্বা সফরের পরেও কোচ রবার্তো মানচিনি, অধিনায়ক জিয়োর্জিও কিয়েল্লিনিসহ বাকি দলের মধ্যে কোনো ক্লান্তি ছিল না। বরং দেশের হাজার হাজার মানুষের শুভেচ্ছায় তারা আরও অনুপ্রাণিত হয়ে উঠেছিল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতল ইতালি। বহু কাঙ্খিত ট্রফি নিয়ে ঘরে ফেরার আবেগটাই যে একেবারে আলাদা!

রাজার মুকুট পরেই ট্রফি হাতে সবার আগে বাস থেকে নামলেন অধিনায়ক কিয়েল্লিনি। তার আগে থেকেই অবশ্য রাস্তার ধারে সমর্থকেরা ভিড় জমিয়েছিলেন। গান গাইছিলেন আনন্দে। কিয়েল্লিনি নামতেই উন্মাদনার যেন বাঁধ ভাঙল। একে একে বাস থেকে নেমে এলেন সব খেলোয়াড়রা। সমর্থকদের সঙ্গে গলাতে মেলাতেও দেখা গেল অনেককে।

এই বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস হবে নাই বা কেন, এর আগে সেই ১৯৬৮ সালে শেষবার ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল ইতালি। ফলে ৫৩ বছর পর দ্বিতীয়বার ইউরো কাপের খেতাব জিতে আজ্জুরিরা ইতিহাস তৈরি করল। পাশাপাশি দু’বার শিরোপা জিতে ফ্রান্সকে ছুঁয়ে ফেলল ইতালিয়ানরা। ফরাসিরা ইউরো কাপ জিতেছে ১৯৮৪ ও ২০০০ সালে।

সবচেয়ে বেশিবার ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জার্মানি ও স্পেন। তারা তিনবার করে ইউরো কাপ জিতেছে। ১৯৭২, ১৯৮০ এবং ১৯৯৬ সালে ইউরোপ সেরা হয়েছিল চারবারের বিশ্বজয়ী জার্মানি। অন্যদিকে স্পেন প্রথমবার ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৬৪ সালে। এরপর ২০০৮ এবং ২০১২ সালে পরপর দু’বার এই খেতাবের দখল রেখেছিল স্পেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত