দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ২১৪ কোটি টাকা ভোক্তাদের ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী সপ্তাহে টাকা ফেরত দেয়া শুরু করবে বলে জানা গেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে গঠিত জাতীয় কমিটির ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় এই অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
একই সঙ্গে ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে গঠিত উপ কমিটির দ্বিতীয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা চলমান নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের নামে এসক্রো সার্ভিসে ভোক্তাদের আটকে থাকা অর্থ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে গত জুলাই থেকে যাদের টাকা আটকে আছে, সেগুলো যেন তাদের ফেরত দেয়া হয়।
সেলক্ষ্যে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকে আমরা একটি চিঠি দিয়েছি। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যন্তরীণভাবে এ বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। এখন গ্রাহকের টাকা ফেরতের বিষয়টি একটি বড় ইস্যু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিসের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে জানান, গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছে।
এতে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, এসক্রো সার্ভিসে সেসব প্রতিষ্ঠানের নামে আটকে থাকা অর্থ ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরা দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী সপ্তাহ থেকে ভোক্তার টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হতে পারে।
তবে, এর আগে প্রতিষ্ঠান থেকে ভোক্তাদের পণ্য পাওয়া না-পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এর আগে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এক বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিন মাসের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে সরকার। উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর ইকমার্স খাতের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, গত ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত এসক্রো সার্ভিসে আটকে পড়া গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করা হবে। গত ৩০ জুন এসক্রো সার্ভিসের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
১ জুলাই থেকে যেসব লেনদেন হয়েছে, সেগুলোর বিপরীতে এই অর্থ আটকে রাখা হয়েছে। যেসব পণ্য ডেলিভারি হয়নি, সেগুলোর অর্থ পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আছে।