আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ২:৩৫

কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ৫

কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন মামলার এজাহারনামীয় আসামি ও তাদের সহযোগী রয়েছেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তাদের আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা আশিক এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

এ বিষয়ে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলন করবে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেখানে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ২৫ বছর বয়সী ওই পর্যটককে তুলে নেয়। তারা তার স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ও হত্যার হুমকি দিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

পরে খবর পেয়ে গভীর রাতে জিয়া গেস্ট ইন নামের এক হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব। এ ঘটনায় হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করেন র‌্যাব সদস্যরা।

ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় মামলা করেন।

আসামিদের মধ্যে ব্যবস্থাপক রিয়াজও রয়েছেন। আসামিরা কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন-কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আশিকুল ইসলাম আশিক,

একই এলাকার মো. শফিউদ্দিন শফি’র ছেলে ইসরাফিল হুদা জয় ও আবুল কাশেমের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

এদিকে পর্যটক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার আসামি রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে (৩৩) জিজ্ঞাসা বাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তানজীন এ আদেশ দেন। এ ঘটনায় ছোটন র‌্যাব হেফাজতে থাকলেও শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ আদালতে তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন।

আরো সংবাদ