আজ শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি বলেন, শাহিনের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে ওই আগুনের ঘটনায় দগ্ধ বাকি ৭ জন মারা গেছেন।
মৃত শাহিনের ভাই আরিফুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানায়। শাহিন তুরাগ কামারপাড়া এলাকায় থাকতেন।
এর আগে গত ৬ আগস্ট (শনিবার) দুপুরে কামারপাড়া এলাকায় গাজী মাজহারুল ইসলামের গুদামে ওই বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ৩২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান মাজহারুল ইসলাম, ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আলম ও ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে নুর হোসেন মারা যান। রোববার রাতে মারা যান ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মিজানুর রহমান, সোমবার রাতে মারা যান ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মাসুম মিয়া, ৭৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আলআমিন। মঙ্গলবার রাতে ৮০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে শফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
পুলিশ বলছে, গুদামটি লাগোয়া রিকশার একটি গ্যারেজ রয়েছে। গ্যারেজের রিকশা চালকদের নিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জার সরানোর সময়ে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে পারলেও সেখানে থাকা ৮ জনই দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। গত কয়েক দিনে তারা সবাই মারা যান।
যারা মারা গেছেন তারা সবাই দরিদ্র পরিবারের; পেশায় রিকশাচালক। রিকশা গ্যারেজ মালিক টেনেটুনে চলতে পারলেও সংসারে ভিন্ন কেউ উপার্জনের না থাকায় পরিবারটিও পড়েছে বিপাকে।
নিহত ব্যক্তিদের হতভাগ্য পরিবারগুলো চিকিৎসা থেকে শুরু করে লাশ দাফন পর্যন্ত ঋণে জর্জরিত। এই ঋণ শোধ করবেন কীভাবে, তাও জানেন না তারা। এখন পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। ধার করে, চাঁদা তুলে চিকিৎসা আর দাফন করা হয়েছে।
তুরাগ থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার কারণ তারা অনুসন্ধান করছেন। এ জন্য ফায়ার সার্ভিসের মতামতের অপেক্ষায় রয়েছেন। হতাহত পরিবারগুলো দরিদ্র হওয়ার পরও মালিকপক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাচ্ছে না। কারণ, গ্যারেজ মালিকও ওই বিস্ফোরণে মারা গেছেন।