ফরিদপুরে রাশেদা বেগম রুশি (৩০) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে স্বামী ও তার সহযোগীকে ফাঁসির আদেশ এবং ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর ৫ আসামিকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
বুধবার (১ মার্চ) দুপুর দেড়টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি হলেন- ফরিদপুর সদরপুর উপজেলা ডেউখালি ইউনিয়নের আব্দুল বারেক মোল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্যা (৩৮) এবং একই ইউনিয়নের রহিম মাতুব্বরের ছেলে চুন্ন মাতুব্বর (৩৯)। আদালতের রায়ের সময় তারা পলাতক ছিলেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌশলী স্বপন কুমার পাল মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে জানান, ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ডেউখালী ইউনিয়নে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. জাহাঙ্গীর মোল্যা ২৩ বছর আগে রাশেদা বেগম রুশিকে বিবাহ করে। পরে তার অনুমতি ছাড়া আরও একটি বিবাহ করে এবং যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় নির্যাতন ও হুমকি দিতে থাকে। ২০১২ স্বামী জাহাঙ্গীর পরিকল্পনা করে চুন্নকে দিয়ে ধর্ষণ ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করায় স্ত্রী রুশিকে। পরবর্তীতে সেটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধর্ষণের কথা উল্লেখ না থাকলেও পরবর্তীতে ময়নাতদন্তে বিষয়টি উঠে আসে। মামলার তদন্ত ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ আদালত রায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।