চাঁদার টাকা না দেয়ায় যশোর সদরের আবাদ কচুয়া গ্রামের মজনুকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ঘটনায় কোতয়ালি থানার সাবেক ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আছমত আলীর স্ত্রী গুলিবিদ্ধ মজনুর মা নুরজাহান বেগম খুকি বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। আসামিরা হলেন, কোতয়ালি থানার সাবেক এসআই জামান, এসআই শোয়েব, এসআই শেখ আজগর আলী ও এসআই আমীর আব্বাস।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে আবাদ কচুয়া গ্রামে মজনুকে আসামিরা আটক করে। এ সময় আসামিরা তার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা মজনুকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। চাঁদার টাকা না দেয়ায় আসামিরা মজনুর হাত পিছনে দিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে চলে আসে। এরপর আসামিরা যশোর-খুলনা মহাসড়কের এসকে ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন টাউন ব্রিজের পাশে নিয়ে মজনুকে মাটিতে ফেলে দিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে হাঁটুর নিচে গুলি করে। গুরুতর আহত মজনুকে আসামিরা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। মজনুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মজনুর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে আসামিরা একটি মিথ্যা মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় মজনু জামিনে মুক্তি পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।