আজ - শুক্রবার, ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৩:৩৬

জামিন হলেও মুক্তি পাচ্ছেন না শহিদুল ইসলাম মিলন।

চাঁদাবাজি, মারপিট, মানহানি এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) যশোর সদর আমলি আদালতে তিনি হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান।

যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া পৃথক দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে অন্য মামলায় আটক দেখিয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর সদর কোর্ট জিআরও খায়রুল ইসলাম।

আদালত সূত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম মিলন ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগারে একটি মামলায় আটক ছিলেন। যশোরের এই দুই মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে যশোর আদালতে আনা হয়। শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তার জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী। বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে সাবেক নারী ও শিশু আদালতের পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল মামলা করেন।

পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল আদালতে করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় ভবনের সামনের ফুটপাত ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ স্থানীয় পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি যান মীমাংসার জন্য। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ওই ফাঁড়িতে গিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ‘ধান্দাবাজ’ আখ্যা দিয়ে মারপিট শুরু করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মুকুলকে হত্যারও হুমকি দেন। এ ঘটনায় গত বছরের ১১ জুন আদালতে মামলা করেন। যা আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।

অন্যদিকে, গত বছরের ২৭ জুন যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং তার বাড়িতে নগদ ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদি প্রাণী, ধান ও গম লুটপাটসহ জায়গা দখলের চেষ্টা করেন শহিদুল ইসলাম মিলন। এ ঘটনার দুই মাস পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়।

তবে এই দুই মামলায় পলাতক ছিলেন শহিদুল ইসলাম মিলন। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি যশোর ত্যাগ করেন। গত ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে আটক হন তিনি। যশোরের ওই দুই মামলায় তাকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন দিলেও তার বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত