নওগাঁ প্রতিনিধি,
চলনবিল এলাকায় বেড়াতে আসা ছোট ভাইসহ এক কিশোরীকে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগা ইউনিয়নের মহিষলুটি এলাকায় ঐ ঘটনায় অপহরনের শিকার কিশোরীর ভাইয়ের খোজ মেলেনি এখনো ।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে মহিষলুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের অভিযোগে অভিযুক্ত গ্রেপ্তারকৃতরা- উপজেলার নওগা ইউনিয়ন যুবলীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: মহির উদ্দিন ও একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ।
গত মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করলেও ঘটনার সময় তার সঙ্গে থাকা ১০ বছর বয়সী ছোট ভাই নিখোঁজ রয়েছে। ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী নাটোরের গুরুদাসপুর থানার মশিন্দা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
থানা হেফাজতে থাকা নির্যাতনের শিকার কিশোরী জানায়, গত তিনদিন আগে ছোট ভাইকে নিয়ে তাড়াশের মান্নান নগর এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে আসে।মঙ্গলবার বিকেলে দু’ভাইবোন চলনবিল দেখতে মহিষলুটি আসে। পথে আনিছুর রহমান নামে তার দুলাভাইয়ের এক বন্ধু কৌশলে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় তাদের তুলে নিয়ে বিদ্যাধর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
সন্ধ্যার পর পরিত্যক্ত ওই বাড়ি থেকে ছোট ভাইকে তারা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আনিছুর ও তার বন্ধু মহির এসে দুজন মিলে তাকে ধর্ষন করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল নওগাঁ ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি কোরবান আলী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন , “খবর পেয়ে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে মহিষলুটি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রেখে থানায় খবর পাঠাই। পরে পুলিশ এসে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। তবে তার ছোট ভাইকে আমরা ঘটনাস্থলে পাইনি।”
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলে আশিক বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধারের পর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। রাতেই ওই নির্যাতিত মেয়ে বাদী হয়ে মহির ও আনিছের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষিতা কিশোরী ঘটনার সময় তার ছোট ভাই নিখোঁজ হয়েছে দাবী করলেও আমরা তাকে এখনও খুঁজে পাইনি।
তিনি আরও জানান, ভিকটিমকে আজই মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। এদিকে অভিযুক্ত দুই যুবলীগ নেতাকে বহিস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শীঘ্রই দলের জরুরী সভা ডেকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মহির ও আনিছকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। এজন্য ওই ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।