নাঈম সাব্বির (স্পেশাল করসপন্ডেন্ট পলিটিক্স ও জনদূর্ভোগ) : জিয়া অরফানেজ মামলা, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা–দীর্ঘ ৭/৮ বছর আদালতে আইনি প্রক্রিয়ায় শুনানির পর এখন রায়ের পর্যায়ে এসে উপস্থিত হয়েছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বেগম খালেদা জিয়ার অরফানেজ মামলার রায় হবে।
৮ ফেব্রুয়ারি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। এদিন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন বিশেষ আদালতের দিকে। কী রায় হতে পারে ওইদিন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এ মামলায় সসম্মানে খালাস পাবেন।
অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। মামলায় খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আশা করছেন তারা।
মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষী দিয়েছেন ৩২ জন।
আইন অনুযায়ী যদি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হয় তাহলে আদালতে তাকে সসম্মানে খালাস প্রদান করবেন।
যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে তাহলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন থেকে যে কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড দিতে পারেন আদালত। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।
দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারা
দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা (যাবজ্জীবন অথবা দশ বছরের কারাদণ্ড)। সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অথবা ব্যাংকার, ব্যবসায়ী বা প্রতিনিধি কর্তৃক অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ (Criminal Breach of Trust bu public servant, or by banker, merchant or agent) : কোনো ব্যক্তি যদি সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার পদমর্যাদা বলে অথবা ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, ফ্যাক্টর, দালাল বা প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবসা সূত্রে কোনোভাবে কোনো সম্পত্তির জিম্মাদার হয়ে বা ওই সম্পত্তির পরিচালনের ভারপ্রাপ্ত হয়ে সে সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলকভাবে বিশ্বাস ভঙ্গ করে।
এ ধারার শাস্তি : যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা দশ বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন, অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।
দণ্ডবিধি ১০৯ ধারা :
দুষ্কর্মে সহায়তা করা হয়েছে, সহায়তার দরুন সে কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকলে এবং সেক্ষেত্রে দণ্ডদানের কোনো স্পষ্ট বিধান না থাকলে অনুরূপ সহায়তার সাজা।
দুদক আইনের ৫ (২) ধারা
দুদক আইনের ৫ (২) ধারায় (সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড) ‘কোনো সরকারি কর্মচারী অপরাধমূলক অসদাচরণ সংঘটিত করলে বা উদ্যোগ গ্রহণ করলে সে সাত (০৭) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডযোগ্য হবে এবং অপরাধমূলক অসদাচরণ সংশ্লিষ্ট অর্থিক সম্পদ অথবা সম্পত্তি ও রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আমরা সব ধরনের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। মামলার রায়ে তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করছি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। মামলায় বেগম খালেদা জিয়া খালাস পাবেন।
গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার কথা বলছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় দলই। আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়েই ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে দল দু’টির নেতারা মুখে বলছেন। রাজপথে আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচিও ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ-বিএনপি। তবুও আতঙ্কের ছায়া ঘিরে ফেলছে জাতিকে। ‘৮ ফেব্রুয়ারি’ ফোবিয়ায় (অস্বাভাবিক ভীতি) কাঁপছে দেশ।
একটি মামলা। একটি রায়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার খানিক অবসানও বটে। আর বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনাও যেন। অথচ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাজনীতির মাঠ আবারও উত্তপ্ত। যুদ্ধাংদেহী অবস্থান নিয়ে নানা ঘোষণা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতারা। মাঠ দখলের প্রস্তুতিও চলছে উভয় শিবিরে।
কী হবে ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়ে? রায় খালেদা জিয়ার বিপক্ষে গেলে বিএনপির অবস্থান কি হবে? পক্ষে গেলে সরকারি দল আওয়ামী লীগের অবস্থান কি হবে? নির্বাচনের বছরে এমন একটি রায়ে ফের জ্বালাও-পোড়াওয়ের আন্দোলন শুরু হয় কি না- এমন সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। জল্পনা, কল্পনা আর নানা গুঞ্জন এখন রাজনীতি ও রাজনীতির বাইরে, যার কেন্দ্রে প্রকাশ পাচ্ছে আতঙ্কের দাবানল।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও রাজপথ দখলের কথা শোনাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে থাকবে দলটির নেতাকর্মীরা। অপরদিকে রায় বিপক্ষে গেলে ঢাকাকে অচল করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে বিএনপি।
খবর বেরিয়েছে, প্রকাশ্যে-গোপনে মিটিংও করছে দু’দলের নেতারা। জমায়েত করা আর জমায়েত ঠেকানোর জন্য প্রায় মারমুখী অবস্থানে দল দু’টি।
৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার এ রায়কে ঘিরে বিশেষ সতর্ক অবস্থার কথা বলছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও। ৮ ফেব্রুয়ারি সব ধরনের মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসন, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রায়কে ঘিরে দু’দলের অবস্থান এবং পুলিশের সতর্ক অবস্থা যেন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জনমনে। আতঙ্ক নিয়ে নানা কথা মিলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুর কাছে জানতে চাওয়া হয় ৮ ফেব্রুয়ারি প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রায় দেখব, এরপর আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সমাধানের পক্ষে আমরা। সরকারই পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায় তো সরকারের কথাতেই হচ্ছে, নইলে আগাম অবস্থান নেবে কেন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে। সরকার শত শত নেতাকর্মীকে আটক করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে। সময় বুঝেই সরকারের সব কর্মকাণ্ডের জবাব দেয়া হবে বলে জানান শামসুজ্জামান দুদু।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিষয়টি আইন এবং আদালতের বিষয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে বিএনপি এ রায় নিয়ে এহেন রাজনীতি করত না। খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার পক্ষে দেশ সেরা আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রতিহত করার কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি উল্লেখ তিনি বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপি যদি এ রায়কে কেন্দ্র করে নোংরা রাজনীতি করতে চায়, তাহলে রাজনৈতিকভাবেই তা মোকাবেলা করবে আওয়ামী লীগ।
পথে পথে তল্লাশি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে রেলপথ, সড়কপথ ও নৌপথসহ সর্বত্র চলছে তল্লাশি। সতর্কতা হিসেবে ইতোমধ্যে রাজধানীতে ৮ ফেব্রুয়ারি সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে গ্রেফতার অভিযান। বাদ যাচ্ছে না সন্দেহভাজনরা। বাদ নেই জীবন-জীবিকার সন্ধানে কিংবা প্রয়োজনে ঢাকায় আসা সাধারণ মানুষও!
খোঁজ নিয়ে ও সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, ঢাকায় প্রবেশের সবগুলো পথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্যের সংখ্যাও। বাড়ানো হয়েছে টহল।
পুলিশ বলছে, সরকার উৎখাত ও নাশকতার সতর্কতা হিসেবে রাজধানীতে প্রবেশের পথগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। হয়রানি নয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য পুলিশের।
তবে সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, অপরাধীদের ধরতে গিয়ে সাধারণদের হয়রানি করা হচ্ছে।
বিএনপি বলছে, অপরাধী ধরার নামে মামলার আসামি ধরার কথা বলে বিএনপিকে নেতাকর্মী শূন্য করার কৌশল নিয়েছে পুলিশ। চলছে গ্রেফতার-বাণিজ্য।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার সাতটি প্রবেশমুখে ১৩টি তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেখা যায়, বাস, পিকাপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছেন না ব্যাগ কিংবা পোটলাধারী পথচারীরাও।
শুধু চেকপোস্টগুলোতে নয়, রাজধানীর ভেতরের স্থায়ী তল্লাশি চৌকিগুলোতেও চলছে তল্লাশি। বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলীর পর্বত সিমেনা হলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের নিরাপত্তা চৌকিতে জনবল বাড়ানো হয়েছে। অস্ত্রহাতে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী এলাকাতেও চলছে ব্যাপক তল্লাশি। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড, চিটাগাং রোড ও সাইনবোর্ড এলাকায় নাশকতার যে কোনো চেষ্টা এড়াতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলপথে ও নৌপথে চলছে তল্লাশি। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কমলাপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার জানান, ঢাকার ভেতরকার প্রত্যেকটি স্টেশনে যাত্রী ওঠার সময় ও নামার সময় গেটে তল্লাশি করা হচ্ছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নৌ পুলিশের ঢাকা জোনের সদরঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক খানজাহান আলী ২৪.কমকে বলেন, ২ দিন আগ থেকে এখানে নজরদারি, তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। পর্যাপ্ত জনবলকে মাঠে রাখা হয়েছে। নাশকতার উদ্দেশ্যে, বিস্ফোরক নিয়ে কেউ যাতে নৌপথে ঢাকায় ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি আগে। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনমনে স্বস্তি। নিরাপত্তার কথা বলে যদি জনমনে আতঙ্ক তৈরি করা হয় কিংবা মানুষ ঢাকায় এসে হয়রানির শিকার হওয়া কাম্য নয়। ইতোমধ্যে গ্রেফতার বাণিজ্য ও আটক আতঙ্কের অভিযোগ আসছে। পুলিশ দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে দায়িত্ব পালন করবে বলে আশা করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন খানজাহান আলী ২৪.কমকে বলেন, ‘ঢাকায় প্রবেশের পথগুলোতে সবসময়ই চেকপোস্ট থাকে, তল্লাশিও চলে। নিরাপত্তা জোরদারের প্রয়োজনে কখনো কখনো কড়াকড়ি কিংবা বাড়তি পদক্ষেপ নিতে হয়। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেটাই করছি।