৩ জুন চৌগাছা থানাধীন বড় কাবিলপুর বাজারস্থ আবু সাঈদ এর সার-কীটনাশকের দোকানের সামনে থেকে অপহারণকৃত দুই জনকে ০৫ দিন পর উদ্ধার ও দুই অপহারণকারীকে আটক করছে যশোর জেলা ডিবি পুলিশ।
ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম, মামলার তদন্তভার গ্রহন করে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় অপরাধীদের অবস্থান সনাক্ত করে ডিবি’র একটি চৌকশ টিম নিয়ে ইং (৭জুন) মঙ্গলবার ও (৮জুন) বুধবার যশোর জেলার চৌগাছা থানার কাবিলপুর, শার্শা, বেনাপোল পোর্ট ও ঝিকরগাছা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী ও চোরাকারবারী চক্রের ২ সদস্য আবু সাইদ ও লিটনকে গ্রেফতার করে।
তাদের স্বীকারোক্তি মতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পৌর গেটের পশ্চিম পার্শ্বে হক ফিলিং ষ্টেশনের সামনে থেকে অপহৃত ভিকটিম শাহীন (৩২)কে আসামীদের ফেলে যাওয়া মতে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ও ভিকটিমদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শার্শার মন্টু, লিটন ও তাদের অন্যান্য সহযোগীরা চোরাকারবারীর সাথে জড়িত। তারা চৌগাছা কাবিলপুর বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী আবু সাঈদ এর মাধ্যমে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে শাহাজাদপুর সীমান্ত দিয়ে কীটনাশকের প্যাকেটের কথা বলে প্যাকেট ভর্তী কেজি কেজি স্বর্ণ ১০০০/- টাকা জনে পাঠিয়ে দিত। এভাবে (৩জুন) সকাল ০৮.০০ ঘটিকার সময় আবু সাঈদ ২টি প্যাকেটে ৩ কেজি স্বর্ণ শাহীনকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানোর জন্য দেয়। শাহীন তার শ্যালক ইয়ামিন ও তার ভাই হুরায়রা (১৪) মাধ্যমে প্যাকেট ২টি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানোর জন্য শাহাজাদপুর মাঠ দিয়ে মাঠে উঠলে চোরাকারবারী মন্টু, লিটনের লোক ছিনতাইকারী সেজে দেড় কেজি ওজনের ১টি প্যাকেট ছিনতাই করে চোরাই স্বর্ণ আত্মসাৎ করে এবং নিজেদের অপরাধ-লোকানোর জন্য উপর মহলে ভাল থাকার জন্য জন দেওয়া শ্রমিক শাহীন ও ইয়ামিনকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে আটকে রেখে শারীরিক নির্যৃাতন চালায়।
উল্লখ্য ৩ জুন চৌগাছা থানাধীন বড় কাবিলপুর বাজারস্থ আবু সাঈদ এর সার-কীটনাশকের দোকানের সামনে থেকে চৌগাছা থানার আলম এর ছেলে শাহীন (৩২), ও তার শ্যালক বাঘারপাড়া মনিরুল এর ছেলে ইয়ামিন (১৯), কে আবু সাঈদ, মন্টু, লিটন নামের চোরাকারবারীরা অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে আটকে রাখে। ৪ জুন বেলা ১২.৩০ ঘটিকার সময় ইয়ামিন কৌশলে অপহরণকারী চক্রের হেফাজত থেকে পালিয়ে আসলেও শাহীনকে তারা আটকে রাখে।
শাহীন তার শ্যালক ইয়ামিন ও তার ভাই হুরায়রা (১৪) মাধ্যমে প্যাকেট ২টি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানোর জন্য শাহাজাদপুর মাঠ দিয়ে মাঠে উঠলে এপাচি লাল রংয়ের একটি মটরসাইকেলযোগে ২ জন্য অজ্ঞাত লোক ইয়ামিনকে ভারতে অমল রাজুর লোক পরিচয় দিয়ে কৌশলে দেড় কেজি স্বর্ণ ভর্তী ১টি প্যাকেট নিয়ে চলে যায়। আরেকটি প্যাকেট হুরায়রা ভয়ে মাঠে ফেলে দেয়। বিষয়টি শাহীন আবু সাঈদকে জানাইলে আবু সাঈদ শার্শার চোরাকারবারী মন্টু ও লিটনকে অবগত করলে মন্টু ও লিটন ৪/৫ লোক নিয়ে কাবিলপুর বাজারে এসে শাহীন ও ইয়ামিনকে ডেকে এনে তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে বেনাপোল একটি অজ্ঞাত বাড়ীতে আটকে রেখে টর্চার করতে থাকে। সেখানে থেকে ইয়ামিন কৌশলে পালিয়ে আসলেও শাহীনকে তারা ০৫ দিন যাবৎ আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে।